পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৮২ ]

চলিয়া যায়। অতএব আত্মা সম্বন্ধীয় আলোচনা করা প্রত্যেক মকুষ্যের প্রথম কৰ্ত্তব্য। যেমন ভিত্তি না হইলে তাহার উপর অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করা যায় না, তেমনি আত্মা বিশ্বাস না করিলে কেহ কস্মিনকালে ধৰ্ম্মোপার্জন করিতে পারেন না । আত্মা কি বস্তু ? ইহার বিচার এবং মীমাংসা এত অধিক যে, যুগকাল প্রমাণ আলোচনা করিলেও ফুরাইবে না। সে সকল কথা লইয়া আন্দোলন করা আমাদের উদ্দেশ্য নহে। তবে সাধারণ ব্যক্তির যে সকল যুক্তি এবং প্রমাণ প্রদর্শন করাইয়া আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন, সেই সকল প্রশ্ন লইয়া আমি সৰ্ব্বাগ্রে কিঞ্চিৎ আলোচনা করিয়া প্রভুর উপদেশ উল্লেখ করিব । নাস্তিকের বলেন যে, আত্মা বলিয়া এমন কোন বস্তু নাই। মনুষ্যদেহ মনুষ্যদেহ হইতে জন্মায়, পার্থিব পদার্থ দ্বারা পরিবৰ্দ্ধিত হয় এবং কালসহকারে শরীর বিধানের বিকৃতির নিমিত্ত মনুষ্যেরা মরিয়া যায়। মনুষ্যশরীর কলের ন্যায় চলিতেছে। কতিপয় পদার্থের বিশেষ ব্যবস্থা করিলে কল চলে, মনুষ্যদেহও কতকগুলি পদার্থের দ্বারা চলিয়া থাকে। শোণিত, বায়ু, জল, আহার ইত্যাদি বিবিধ প্রকার পদার্থ ব্যতীত দেহ-কল আচল হইয়া পড়ে। যেমন শ্বাস বদ্ধ হইলে মানুষ মরিয়া যায়। সুস্থকায় ব্যক্তিরা গলায় দড়ি দিয়া অথবা ফাসি কাটে মরিতেছে। এরূপ মৃত্যুর কারণ শ্বাসরুদ্ধ হওয়া। শরীরের ভিতরে বায়ুর গতিবিধি না থাকিলে জীব কখন জীবিত থাকিতে পারে না, ইহা সকলের প্রত্যক্ষ বিষয়। শ্বাসপ্রক্রিয়ার বিজ্ঞানাদি তদন্ত করিলে বুঝা যায় যে, ভুবায়ুস্থিত বাষ্পবিশেষ অকৃসিজেন জীবদেহের ফুসফুস অর্থাৎ বক্ষ গহবরস্থিত শোণিতপরিষ্কারক যন্ত্রের মধ্যে বিকৃত শোণিত পরিষ্কার করিয়া দিলে তদ্বারা দৈহিক কাৰ্য্য সুচারুরূপে সম্পাদন