পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७ ] তথায় পঞ্চতপার কার্য্যই আয়াসসাধ্য নহে। দেশের জল বায়ুর দ্বারা হয় দেহ সুস্থ থাকে, না হয় ব্যাধির মন্দিরবিশেষে পরিণত হয় । এই সকল কারণে সাধনায় প্রবৃত্ত হইবার সময় দেশের অবস্থার প্রতি দৃষ্ট রাখা অতীব কৰ্ত্তব্য । দেশের দ্বিতীয় ভাগকে দেশীয় নরনারীদিগের ব্যবহার বলিয়। উল্লিখিত হইয়াছে। যেরূপ, জল বায়ুর ধৰ্ম্ম উল্লঙ্ঘন করিবার অধিকার কাহার নাই এবং তাহ হইতে রক্ষা পাইবার নিমিত্ত নানাবিধ উপযু উদ্ভাবন করিতে হয়, সেইরূপ প্রত্যেক দেশের অন্যান্য ধৰ্ম্ম অলক্ষিতভাবে মনুষ্যদিগকে অধিকারে রাখিয়; কাৰ্য্য করাইয়া লয় । দেশের এই ধৰ্ম্মকে গুণ কহে । গুণ ত্রিবিধ,--সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ ; এই ত্রিগুণে মনুষ্যাদি প্রত্যেক জীব ও পুথিবীর অন্যান্য যাবতীয় পদার্থ সংগঠিত হইয়াছে । স্পষ্ট পদার্থ ত্রি গুণাত্মক হইলেও গুণের স্বল্পাধিক্য আছে । যে স্থানে রজো গুণের আধিক্য,সে স্থানে বাস করিলে মনোমধ্যে রজে গুণের প্রতিবিম্ব অবগুষ্ট প্রতিফলিত হইয় থাকে | তমঃ এবং সত্ত্ব গুণ হইতে ও তদ্রুপ ভাবের কার্য্য হয় | সাধন কর্ঘ্যের সহায়তার নিমিত্ত ত্রি গুণের মধ্যে সত্ত্বই শ্ৰেষ্ঠ এবং তাহার সহিত সম্বন্ধ স্থাপিত ন হইলে, ঈশ্বরের সহিত কোন সম্বন্ধই হইতে পারে না । তাহার কারণ এই মে, সত্ত্বের মাধুর্য্যভাব, রজোর ঐশ্বৰ্য্যভাব এবং তমোর তামসিক ভাব । মাধুৰ্য্যভাব না আসিলে ভগবানের রাজ্যে প্রবেশ করিবার পথ পাওয়! যায় না । এই নিমিত্ত সাধনায় লিপ্ত হইতে হইলে লোকের প্রক্ষতি পর্দ্যালোচন করিয়া দেখ: কৰ্ত্তব্য । অতএব সাধন কথাটা যারপরনাই গুরুতর এবং তাহার ব্যবস্থ!