পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ a J করা অতিশয় কঠিন। রামকৃষ্ণদেব এই দুরূহ সাধন বিষয়ে যে প্রকার মীমাংসা করিয়া গিয়াছেন, আমি তাহাই প্রকাশ করিতে সাধ্যমত প্রয়াস পাইতেছি। যদ্যপি তাহার আশীৰ্ব্বাদ থাকে, যদ্যপি তিনি আপনি ভাবের ঘরের দ্বারোদঘাটন করিয়৷ দেন, তাহা হইলে আপনার সাধনের ভাব বুঝিতে পরিবেন। নতুবা যে মুখে আসিয়াছেন, সেই মুখে ফিরিয়া যাইতে হইবে । 督 কথিত হইল যে, উদ্দেগু, দেশ, কাল এবং পাত্র বিচার করিয়া ঈশ্বর সাধন নিরূপণ করিতে হয় । এ প্রকার প্রণালী অবলম্বন করিবার হেতু কি ? রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন যে, মনই সকল কাৰ্য্যের অধিনায়ক ; কোন কাৰ্য্য সাধন হওয়া বা না হওয়া মনেরই একমাত্র অধিকার ও সঙ্কল্পের বিষয় । যদিও বুদ্ধি এবং ইন্দ্রিয়াদি ব্যতীত কোন কার্য্য সম্পন্ন হয় না বটে, কিন্তু মনের আগ্রহ থাকিলে ইন্দ্রিয়াদির ভাবান্তর সত্ত্বেও, অনেক সময়ে কার্য্য সাধন করা যায়। যেমন পক্ষাঘাত রোগে হস্ত পদের কার্য্যহীনতা জন্মিলেও মনের ইচ্ছা হইলে সকল স্তানেই অনায়াসে গমনাগমন করা যায়, কিন্তু মনের ইচ্ছা না থাকিলে ইন্দ্রিয়াদি কাৰ্য্যক্ষম থাকিলেও কোন স্থানে গমন করা যায় না । মন সকল কার্য্যের কৰ্ত্ত হইলেও অবস্থাক্রমে তাহার সাময়িক পরিবৰ্ত্তন হয়। যেমন এক ব্যক্তি শাস্তভাবে বসিয়া আছেন। তাহার মনে সে সময়ে কোন ভাবের কার্য্য নাই । যদ্যপি সে সময়ে তাহার সমক্ষে বেখ্যাদি আসিয়া উপস্থিত হয়, তাহাদিগকে দেখিবামাত্র তাহার মানসিক বিকার উপস্থিত হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। মানসিক ভাবেদয় হইলেই যে সকল সময়ে তাহা কার্য্যে পরিণত হয়, তাহা নহে ; কিন্তু এরূপ অবস্থায় মনের উপরে যে সাময়িক ছায়। পতিত হয়, তাহার সন্দেহ নাই। অথবা মদ্য সেবন করিয়া কাহাকে বিবাদ ও মারামারি