পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ పెe ] স্বীকার করিতেন না। যদিও স্কুল দেহের কার্য্য নিৰ্ব্বাহের নিমিত্ত শোণিত, বায়ু এবং অন্যান্ত স্থল পদার্থের বিশেষ প্রয়োজন দেখা যায় বটে, যদিও এই সকল পদার্থ ব্যতীত জীবজীবন জীবিত থাকিতে পারে না বটে, কিন্তু তাহাই চূড়ান্ত কথা কহে । যোগীরা সমাধিস্থ হইয়া যুগযুগান্তর কাল জীবিত থাকিতে পারেন। সে সময়ে তাহাদের শোণিত, ফুসফুসে বায়ুস্থিত অকৃসিজেন কর্তৃক বিশুদ্ধতা লাভ করে না, তথাপি তাহারা মরিয়া যান না কেন ? আমরা এক মুহূৰ্ত্তকাল বায়ুবিরহিত স্থানে স্থির থাকিতে পারি না, কিন্তু রামকৃষ্ণদেব সমাধিস্ত হইয়া দীর্ঘকাল বসিয়া থাকিতেন, তথাপি কোনপ্রকার ক্লেশানুভব করিতেন না । সে সময়ে তাহার শ্বাস প্রশ্বাস একেবারে বন্ধ থাকিত এবং ধমনীতে শোণিতের গতিবিধি স্থগিত হইয়া যাইত। যোগের এই ঘটনার দ্বারা শোণিত এবং বায়ুকে জীবন সম্বন্ধে আদি কারণ বলিয়া কখন স্বীকার করা যায় না। স্বাভাবিক অবস্থায় জীবনীশক্তি সম্বন্ধে কথা এই যে, উহা নামান্তর মাত্র। যদ্যপি কোন কারণে শরীরে অস্বাভাবিক ঘটনার উত্তেজনা হয়, তাহা হইলে ক্রমে অবসাদন আসিয়া সময়ে দুৰ্ব্বল করিয়া ফেলে। যেমন হস্ত কিম্বা পদে বন্ধন প্রদান করিলে নিয়স্থিত অঙ্গ স্ফীত হইয়া উঠে এবং দীর্ঘকাল ঐরূপ ভাবে থাকিলে নিয়াঙ্গ ক্ষত বিক্ষত হইয়া পরিশেষে পচিয়া যাইতে পারে। এই নিমিত্ত জীবনীশক্তি শারীরিক স্বাভাবিক অবস্থাকে কহে । শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা বলিলে তাহা বিবিধ কারণের ফল বলিয়া জ্ঞাত হইতে হইবে । সুতরাং তাহাকে কখন আদিকারণ বলা যায় না । যাহারা দেহকে স্বাভাবিক ঘটনার কলস্বরূপ বলিয়া স্বভাবকেই কারণ জ্ঞান করেন এবং কলের উপমার দ্বারা দেহকে ভিন্ন ভিন্ন