পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২১৮ ] হইলে তিনি আর সিংহাসনের অধিকারী বলিয়া পরিচয় দিতে পারেন। ন। ধনী বা সম্রাটের ধন এবং রাজ্যনাশ হইলে ধনী এবং সম্রাটের নিকট যদিও ধনসাম্রাজ্য চলিয়া গেল, কিন্তু তাহ! বলিয়া একথা কেহ মনে করিতে পারেন ন; যে, সেই ধন ও সাম্রাজ্য একেবারে বিলয়প্রাপ্ত হইয়া যায়। সংসারে কোন পদার্থই বিনষ্ট হয় না। যে রৌপ্য ও সুবর্ণ পৃথিবীর প্রারম্ভে হিন্দুগণ ব্যবহার করিয়াছেন, সেই সুবর্ণ এবং রৌপ্য অদ্যাপি স্বর্ণ এবং রৌপ্যরূপেই রহিয়াছে। বিশেষ দৃষ্টান্তস্বরূপ বলিতেছি যে, হস্তিনার রাজভাণ্ডারস্থিত কহিনুর মোগলদিগের করগ্রস্ত হইয়া সুদীর্ঘ কাল সম্রাট পরস্পরায় ব্যবহার করিয়া লন। পরে ইংরাজাধিকার কালে উহা ব্রিটিস রাজকোষান্তর্গত হইয়। এক্ষণে ভিকৃটোরিয়া মাতার শিরোভূষণ হইয়া রহিয়াছে। কহিনুর যেমন তেমনি আছে, কিন্তু উহ! কত নৃপতি দেখিয়াছেন, তাহারা কোথায় চলিয়া গিয়াছেন ! কিন্তু কহিমুরের কোন পরিবর্তন সাধন হয় নাই। এই নিমিত্ত প্ৰভু কহিতেন যে, বর্ণবিভাগ কখন যাইবার নহে । পুথিবীর যে কোন স্থানে হউক, তাহ থাকিবেই থাকিবে । যাহারা তাহ রক্ষা করিতে না পারিবে, তাহারাই তাহাতে বঞ্চিত হইবে । আমাদের বাঙ্গালা দেশের অবস্থা পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে। ব্রাহ্মণবর্ণের যদিও লোপ হয় নাই, কিন্তু অপরাপর বর্ণের সম্পূর্ণ নবী হইয়াছে। ব্রাহ্মণ বর্ণ থাকিলে কি হইবে ? গুণের সম্যক্ বিপৰ্য্যয় ঘটিয়াছে । বর্তমানকালে মোটের উপর হিন্দুর বর্ণগত বিপ্লব ঘটিয়াছে, ইহা অস্বীকার করা যায় না ; সুতরাং, আশ্ৰমধৰ্ম্ম সম্বন্ধে সমূহ বিপৰ্য্যয় সংঘটিত হইবে, তদ্বিষয়ে আশ্চর্য্যের বিষয় কি ? এই নিমিত্ত শাস্ত্রোক্ত