পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২১৯ ] আশ্রমচতুষ্টয়ের কার্য্য একেবারেই বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। আর সে ব্রহ্মচর্য্যের ব্যবস্থা নাই, আর সেই গার্হস্থ্যাশ্রমের সৌন্দর্য্য নাই, আর সেই বানপ্রস্থাশ্রমের মধুরতা নাই,আর সেই সন্ন্যাসের অপূৰ্ব্ব দৃশ্য নাই। আশ্রমচতুষ্টয় সম্পূর্ণরূপে বিকৃত হইয়া অভিনবরূপ ধারণ করিয়াছে। পূৰ্ব্বকালে অবস্থাবিশেষের নাম আশ্রম ছিল,এক্ষণে তাহা ইচ্ছাবিশেষের ফলস্বরূপ হইয়া দাড়াইয়াছে। ব্রহ্মচৰ্য্য অতি কঠিন কথা, এ অবস্থায় গুরুগৃহে বাস করিয়া বেদাদি অধ্যয়ন করিতে হইত, যে পর্য্যন্ত না কেহ ঈশ্বরতত্ত্বের সম্যক্ জ্ঞান লাভ করিতে পারিতেন, সে পৰ্য্যস্ত তাহাকে অধ্যয়ন কার্য্যে ব্যাপৃত থাকিতে হইত। জ্ঞান লাভ করিলে সেই ব্যক্তিই আপন কৰ্ত্তব্য বুঝিয়া জীবনযাত্র। সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ করিতে পারিতেন, সেই ব্যক্তি সংসারাদি আশ্রমের প্রকৃত উপযুক্ত পাত্র বলিয়া সেকালে বিবেচিত হইতেন । ব্রহ্মচারী যখন সংসারের রহস্তভেদ করিতে পারিতেন, তখনই তিনি তাহ পরিত্যাগ পূর্বক আশ্রমাস্তরে পদার্পণ করিতেন। ফলে পূৰ্ব্বকালে উচ্চবর্ণত্রয়ের লক্ষ্য ভগবানের দিকে ছিল, যেরূপে সেই জ্ঞান এবং ভাব লাভের সুবিধা হইত, তাহাই তাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এবং তাহা সাধন করিবার নিমিত্ত তাহারা সৰ্ব্বদাই সেইরূপে প্রস্তুত হইতেন । বর্তমানকালের উদ্দেশ্য পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গিয়াছে। তত্ত্বজ্ঞান কিম্বা ভগবান লাভ করিবার নিমিত্ত কাহার জীবন প্রস্তুত করিবার উদ্দেশ্য নাই। বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া দেখুন, তাহাদের লক্ষ্য কোন দিকে ? তাহার। ব্রহ্মচর্ষ্য কথাটা একপ্রকার বিশ্বত হইয়াছেন বলিলে অন্যায় বলা হয় না। যদিও অদ্যাপি টোলের ব্যবস্থা আছে এবং তথায় ছাত্রের অধ্যয়নাদি করেন, কিন্তু তাহাদের উদ্দেশ্য বাহির করিয়া দেখিলে চমৎকৃত হইতে হইবে । ভগবৎজ্ঞান লাভ করা