পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २.२२ ] করিতেন । তাহাতে বর্তমান কালের ন্যায় পিতা মাতার আর্থিক সম্বন্ধ একেবারেই থাকিত না। কোন স্থানে অসবর্ণ, অদুষ্ট, রোগবিহীনা, ধৰ্ম্মশীলা, সদ্বংশজাতা, সৰ্ব্বসুলক্ষণ, অল্পবয়স্থা কন্যা প্রাপ্ত হইলে তাহার পিতার অর্থানাটনের নিমিত্ত কখন বিবাহ ভঙ্গ হইত না । এই জন্যই বলি যে, সেকালের বিবাহে পাত্রের অভিরুচির প্রাধান্ত জ্ঞাত হওয়া যায়। অতএব বর্তমান কালের সংসারাশ্রম বলিলে পুরাকালের সংসার বুঝাইতে পারে না। কথিত হইল যে, পুরাকালের ব্যক্তির দার পরিগ্রহ পূৰ্ব্বক সুসস্তান প্রত্যাশা করিতেন । এই নিমিত্ত বিবাহকালে কন্যার শাস্ত্র প্রমাণ লক্ষণাদি নিরূপণ করিয়া পাত্রী স্থির হইত এবং স্ত্রীসহবাসাদি সম্বন্ধে ও র্তাহার শাস্ত্রের নিয়ম কখন উল্লঙ্ঘন করিতে সাহসী হইতেন না । যে হেতু, তাহারা মুসন্তান ছিলেন, তাহারা স্বধৰ্ম্মপরায়ণ ছিলেন, সুতরাং শাস্ত্রবাক্য প্রতিপালন করা তাহাদের প্রাণের কার্য্য ছিল। যাহার শাস্ত্র মানিয়া তদমুষ্ঠিত কাৰ্য্য সম্পাদন করিতেন, র্তাহারা কখন বিপরীত ফললাভ করেন নাই। এই নিমিত্ত সংসারাশ্রমেও তাহারা সুখী হইতেন এবং নিদিষ্ট কাল সংসারে অবস্থিতি করিয়া তৃতীয়াশ্রমে প্রবেশ করিতে কৃতকাৰ্য্য হইতেন । পূৰ্ব্বকালের হিন্দুদিগের ধৰ্ম্মধক্ষা করিবার উদ্দেশু ছিল । ধৰ্ম্মরক্ষা করিবার অধিকারী হইবার নিমিত্ত ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমী হইতেন, ধৰ্ম্মরক্ষ করিবার নিমিত্ত সংসারী হইয়া সুপুত্ৰ কামনা করিতেন । পুত্র জন্মিলে র্তাহারা সংসার ত্যাগ করিতে পারিতেন । বর্তমান কালে সে রামও নাই, আর সে অযোধ্যাও নাই। সংসার কামিনীকাঞ্চনের ক্রীড়ার স্থল হইয়া দাড়াইয়াছে। পূৰ্ব্বকালের সংসারে কি কামিনীকাঞ্চন ছিল না ? তাহা নহে। পূৰ্ব্বে ধৰ্ম্মভিত্তির উপরে