পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ 8 ] ভিতর রাখিতে হয় । আমি অনেক ধৰ্ম্ম সংগ্ৰহ করিয়াছি, সেই ধৰ্ম্মবলে নৈবেদ্য লইতে সকলকে এখনি বাধ্য করিতেছি।” এই বলিয়া নৈবেদ্যের উপকরণের খুরির সহিত আর একখানি খুরিতে পচিশ টাকা দিয়া পুনরায় ব্রাহ্মণদিগের বাটীতে প্রেরণ করিলেন। নিমেষমধ্যে সমুদয় নৈবেদ্য নিঃশেষিত হইয়া গেল এবং অতিরিক্ত নৈবেদ্যের জন্য সুপারিশের উপর সুপারিশ আসিতে লাগিল । আর এক সময়ে কোন ভদ্রলোক একখানি বাগান খরিদ করেন । সেই বাগানে একটা শিবের মন্দির ছিল । শিবের নিত্য পূজার, যেরূপ হউক, ব্যবস্থা ছিল । এক সময়ে তাহার বৈঠকখানা নিৰ্ম্মাণের প্রয়োজন হয় । যে স্থানে শিবালয় ছিল, সেইদিক ব্যতীত অন্যদিকে বৈঠকখানা নিৰ্ম্মাণ করিবার সুবিধা ছিল না, কিন্তু হিন্দু বিশেষতঃ ব্রাহ্মণ হইয়। নিত্যপূজিত শিবকে কেমন করিয়া স্থানান্তরে লইয়া যাইবেন ভাবিয়া অতিশয় বিষাদিত হইলেন । কিন্তু বলিয়াছি ধৰ্ম্ম বাক্সে । তিসি এই সহরের তাৎকালিক সুপ্রসিদ্ধ স্মার্থ মহাশয়ের নিকট হইতে অর্থ দিয়া শিবলিঙ্গ স্থানান্তর করিবার ব্যবস্থা পত্র পাইয়াছিলেন । আর প্রায়শ্চিত্ত বিধানের ত সীমা নাই । তাই বলিতেছি যে, বর্তমানকালের সংসারাশ্রমের উদ্দেশ্য কামিনীকাঞ্চন। কামিনীকাঞ্চন বলিবার হেতু এই যে, কামিনীর নিমিত্তই কাঞ্চনের এত প্রাদুর্ভাব হইয়াছে। সংসারের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে দেখা যায় যে, যে কোন বর্ণ ই হউন, অথবা যে কোন যৌগিক বর্ণই হউন, সকলে জীবনকে দুইভাগে বিভক্ত করিয়া সংসারাশ্রমে অবস্থিতি করিতেছেন। প্রথমাবস্থায় সংসারে কামিনী অর্থাৎ স্ত্রীপুত্ৰাদি ও পরিজন প্রতিপালন করিবার সামর্থ্য লাভের হেতু অর্থকরী বিদ্যোপার্জন করা এবং দ্বিতীয়াবস্থায় মৃত্যুকালাবধি কামিনীর পদলেহন ব্যতীত অন্য কোন কাৰ্য্য কর্তব্য বলিয়। জ্ঞান না করা । বিংশতি