পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২২৫ ] বর্ষের পূৰ্ব্বেই কামিনীর করগ্রস্ত হইয়া কাঞ্চনের সাম্রাজ্যভুক্ত হওয়া বৰ্ত্তমান কালের বিশেষ লক্ষণ । ইহাকে কামিনীকাঞ্চনের যুগল মিলন কহে । কামিনীকাঞ্চনের যুগল মিলন হইবার সুবিধার নিমিত্তই ইউনিভারসিটির উপাধির জন্য লালায়িত হওয়া । কামিনীর সম্বন্ধ স্থাপিত হইবার পর পুত্র কন্যার মুখদর্শন করিবার জন্য কোন কোন স্থলে একবৎসর কালও অপেক্ষা করিতে হয় না। এইরূপে স্বল্পকালে দারাসুত । পরিপূরিত সংসারচক্র নিৰ্ম্মিত হইয়া যায়। একবার সংসার সংগঠিত হইয়া যাইলে ক্রমে তাহ নানাভাবে পরিবদ্ধিত হইয়া পড়ে । সুতরাং এই বিস্তীর্ণ সংসার সঞ্চালন করিবার কাঞ্চনই একমাত্র উপায় । সেই জন্য কাঞ্চন কাঞ্চন করিয়া সৰ্ব্বদাই ঘুরিয়া বেড়াইতে হয়। সেইজন্য সামাজিক ব্যবস্থাপকেরা ধনীর ইচ্ছানুযায়ী অযথা, অন্যায়, অযৌক্তিক ব্যবস্থা দিয়া কাঞ্চন লাভ করিতে অগ্রপশ্চাৎ দৃষ্টি করেন ཚ། }} বৰ্ত্তমানকালের সংসারে কামিনীকাঞ্চন ব্যতীত কথা নাই, ইহ। অধিক বলিতে হইবে না। - কারণ, আমর। তদ্বিষয়ে ভুক্তভোগী । কামিনী আমাদের চিরসঙ্গিনীবিশেষ হইয়া দাড়াইয়াছে । পুরাকালে কখন বানপ্রস্থাশ্রমী হইবার কাল পর্য্যস্ত কামিনীর সম্বন্ধ থাকিত, কিন্তু বর্তমানকালে সে ভাব আর নাই। যুবা, প্রৌঢ়, বৃদ্ধ, যে কোন কালের ব্যক্তিই হউন, তাহার যত বার স্ত্রীবিয়োগ হইবে, ততবার তাহাকে দারপরিগ্রহ করিতেই হইবে । কৃত্রিম দন্ত, শুভ্ৰ কেশজালে কলপ এবং ধাতু দৌৰ্ব্বল্যের ঔষধ সেবন করিয়া যুবার ঢং দেখাইয়া কুমারীর পাণিগ্রহণ পূৰ্ব্বক বৃদ্ধ জীবনের যেন সার্থকতা করিয়া যান। সংসারাশ্রমের এই প্রকার ঘটনা দেখিয়া কি বুঝিতে হইবে যে, হিন্দুশাস্ত্রোক্ত সংসারাশ্রম অদ্যাপি আছে ? যে সংসারাশ্রম আশ্রমের শ্রেষ্ঠ বলিয়া (t