পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s 8s J “প্রভো ! অগ্রসর হউন, আমি আপনার পশ্চাৎগামী হই । নর্তকীর উপদেশ সম্বন্ধে যাহা শুনিলাম, আমিও তাহ বুঝিয়াছি। উহার কথায় বাস্তবিক আমার জ্ঞানচক্ষু খুলিয়া গিয়াছে। আমি নরাধম কুলাঙ্গার, কামিনীকাঞ্চনের লোভে শাস্ত্রবাক্য অবজ্ঞা করিয়াছি। এ পাপের প্রায়শ্চিত্তের নিমিত্ত প্রভু আপনার শরণাগত হইলাম।” এই বলিয়া রাজা প্রস্থান করিলেন । সংসারে বাস করিতে হইলে বর্ণশ্রম ধৰ্ম্ম প্রতিপালন করা সৰ্ব্বে|তোভাবে বিধেয় । মকুষ্যগণ যেমন কাল সহকারে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় পতিত হয় এবং অবস্তাবিশেষে কার্য্যবিশেষ সম্পন্ন করিতে বাধ্য হয়, তেমনি বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম জানিতে হইবে । মনুষ্যদিগের জীবনের প্রথম|বস্থাকে শূদ্রবর্ণ বলিয়া কহ। যাইতে পারে। এ অবস্থায় বালকবুদ্ধি নিবন্ধন কার্য্যের হিসাব জ্ঞান থাকে না, কাৰ্য্যবিধি বিবৰ্জ্জিত বুদ্ধিবিশিষ্ট ব্যক্তিকে শূদ্র বলাই কৰ্ত্তব্য। দ্বিতীয়াবস্থাকে বৈশ্য কহ যায়। বৈপ্তের লক্ষণ ব্যবসা । এই অবস্থায় বাস্তবিক কার্য্যের বিচার করিতে হয় । এই সময়ে হিসাব করিয়া কাৰ্য্য করিতে পারিলে লাভালাভের সম্ভাবনা । এই সময়ের কার্য্যের উপর জীবনের ভাবী অবস্থা নির্ভর করিয়া থাকে। মনুষ্যের বৈদ্যদশা অতি কঠিন কাল । তৃতীয়াবস্থাকে ক্ষত্রিয় বলিতে পারা যায়। ক্ষত্রিয়ের কার্য্য রাজ্যশাসন, দেহের পক্ষে আত্মশাসন বুঝায়। আত্মশাসন করিবার শক্তি সঞ্চারিত না হইলে তাহার দ্বারা দৈহিক কার্য্য সুচাকরূপে সম্পন্ন হইতে পারে না । যেমন দুৰ্বল, কার্য্যজ্ঞানবিহীন নরপতির রাজ্যে কখন সুশৃঙ্খলা থাকে না, আত্মশাসন করিবার শক্তি না থাকিলে সে ব্যক্তি সৰ্ব্বদা সময়ের হিল্লোলে পরিচালিত হইতে বাধ্য হইয়া থাকে। চতুর্থাবস্থাকে ব্রাহ্মণ বলে । আত্মশাসন করিতে পারিলে তবে সেই ব্যক্তি ভগবানের