পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s 6.8 J তিনি ব্রহ্মচর্ষ্য ভাবে বাল্যাবস্থা অতিবাহিত করিয়াছিলেন। তিনি সৰ্ব্বদা ভগবানের লীলা কাহিনী লইয়া বিভোর থাকিতেন। অকপট সাধু সন্ন্যাসী পাইলে তাহাদের নিকট অবস্থিতি করিতেন এবং র্তাহাদের সহিত তত্ত্বপ্রসঙ্গে দিন যাপন করিতেন । এইরূপে বাল্যাবস্থ৷ অতিবাহিত করিয়া তিনি সংসারাশ্রমে প্রবেশ করিয়া কামিনীকাঞ্চনের সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছিলেন । কিন্তু তিনি কামিনীকাঞ্চনের ভাব বর্তমান কালের ন্যায় দেখান নাই। কামিনীকাঞ্চনই যেমন আমাদের ধ্যান জ্ঞান, কামিনীকাঞ্চনই যেমন আমাদের সর্বস্বধন, তিনি তাহ দেখান নাই। তিনি কিয়দিবস কামিনীকাঞ্চনের সম্বন্ধ রাখিয়াছিলেন বটে, কিন্তু আমাদের ন্যায় কামবৃত্তি নিবৃত্তির নিমিত্ত কামিনী গ্রহণ করেন নাই । তাহার সহিত তিনি প্রেমের সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছিলেন । যতদিন তিনি সংসারাশ্রমে ছিলেন, এই আশ্ৰমধৰ্ম্ম কিরূপে প্রতিপালন করিতে হয়, তাহা বিলক্ষণরূপে দেখাইয়াছেন । তিনি তাহার মাতাকে ভক্তি করিতেন, ভ্রাতা ভগ্নীর সহিত সদ্ভাব করিয়াছিলেন, প্রতিবেশী কুটুম্বাদির মান মৰ্য্যাদা রাখিতেন। তিনি তদনন্তর বানপ্রস্থাশ্রমের কাৰ্য্য দেখান। গুপ্তভাবে কাননের নিভৃতস্থানে বসিয়া সাধনাদি করিতেন। পরে সন্ন্যাসী হইয়াছিলেন । এই কার্য্যের দ্বারা এবং সাধারণকে আপনি শ্ৰীমুখে আশ্রমধৰ্ম্মের গুণ গান করিয়া গিয়াছেন। অতএব বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম ব্যতীত উপায় নাই। এই আর্য্যনিদিষ্ট বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম, আমরা আর্য্য সন্তান হইয়া দুই পদে দলন করিয়া যাইতেছি। হিন্দু সন্তান হইয়া, হিন্দুর পরিচয় দিয়া, হিন্দুশাস্ত্রোক্ত উপদেশ অগ্রাহ করিয়া যাইতেছি। এই মহাপাতকের ফলে কি কম্মিনকালে আমাদের কল্যাণ হইবার কোন সম্ভাবনা আছে? যদ্ভমানকালে আমরা বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের মূলোৎপাটন করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছি। যথেচ্ছারীতাই