পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ Ջե8 ] জন্মিয়া থাকে, যদ্যপি ভগবানের আদর্শনে মহাপ্রলয়বৎ জ্ঞান হয়, যদ্যপি তাহার উপস্থিতি ভিন্ন শান্তি লাভের দ্বিতীয় বস্তু না প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহা হইলে তাহারই ঈশ্বরলাভ হইবার কথা । প্রয়োজনবিহীন হইয়া আমরা ঈশ্বরান্বেষণ করিতে যাই, আমাদের অন্য প্রয়োজন চরিতার্থ করিবার নিমিত্ত ঈশ্বরের শরণাপন্ন হইতে যাই, আমাদের সঙ্কল্লরাশি পরিপূরণের নিমিত্ত ভগবানের উপাসনা করিয়া থাকি, ভগবান লাভ হইবে কেন ? যে প্রয়োজন সাধন করিবার জন্য আকিঞ্চন করা যায়, তাহাই সম্পূর্ণ হইবার কথা। রুক্মিণীর বিবাহের সংবাদ দিবার জন্য শ্ৰীক্লষ্ণের নিকটে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ গমন করিয়াছিলেন । সাক্ষাৎ সম্বন্ধে শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র ব্রাহ্মণকে অর্থাদি কিছুই প্রদান করেন নাই, তজন্য বিপ্র মহাশয় মনে মনে নিতান্ত বিরক্ত হইয়া কিঞ্চিৎ অর্থপ্রাপ্তির নিমিত্ত বার বার সঙ্কল্প করেন, কিন্তু লজ্জার অনুরোধে কিছু বলিতে পারেন নাই । ভগবান যখন রথারোহন করিয়া শুভযাত্রা করেন, তখন সেই ব্রাহ্মণের উত্তরীয় বসন প্রভৃতি একে একে উপসর্গবর্গ বিহীন করিয়া দেন। ব্রাহ্মণ আপন সমূহ দুরদৃষ্টের প্রবল কাৰ্য্য দেখিয় একেবারে অধৈর্য্য হইয় পড়েন । কিন্তু তখনও ভগ্ন হৃদয়ে একটা আশা উপস্থিত থাকিয় তাহার ধৈর্য্যচুতি হইতে দেয় নাই। তিনি মনে মনে স্থির করিয়া রাখিয়াছিলেন, যদিও কৃষ্ণচন্দ্রের নিকটে কোন সুবিধা হইল না বটে, কিন্তু রুক্মিণী দেবীর দ্বারা সে দুঃখ দূর হইয়৷ যাইবে । কিন্তু কি পরিতাপ ! ব্রাহ্মণের নিকটে রুক্মিণী দেবী শ্ৰীকৃষ্ণের আগমনবার্তা শ্রবণ করিয়াও কিছুই না দিয়া মস্তকাবনত পূৰ্ব্বক প্রণাম করিলেন। ব্রাহ্মণ তথা হইতে প্রত্যাগমন পূৰ্ব্বক মনে মনে স্থির করিলেন যে, বড় লোকের কথাই স্বতন্ত্র। মাথা হেঁট করিতে অর্থক্ষয় হয় না, তাই বার বার প্রণাম করিতে বিশেষ পটু। যাহা