পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ఇb:అ ) হইয়া গিয়াছে। তুমি পণ্ডিত, প্রকৃত ঘটনা বলিলাম, ইহার তাৎপৰ্য্য বাহির করিয়া দেখ। ব্রাহ্মণ বলিলেন, ব্রাহ্মণী ! তুমি ধন্তা, তুমি মানব জন্মের সার্থকতা লাভ করিয়াছ। কিন্তু জানিনা আমার ভাগ্যে এমন হইল কেন ? এই বলিয়া তিনি পুনরায় শ্রীকৃষ্ণের নিকটে প্রত্যাগমন করিয়া অতি দীনভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, প্রভু এতক্ষণে আমার চৈতন্য হইয়াছে। আমি বুঝিয়াছি, আপনি কে ? আপনি না দয়াময় নাম ধারন করেন ? কিন্তু প্ৰভু ! আমার প্রতি এত নিৰ্দ্দয় কেন ? আমাকে কেন মায়াবরণ দিয়া রাখিয়াছিলেন ? এক্ষণে দয়া করিয়া শ্ৰীচরণে স্থান দিন। আর আমি গৃহে প্রত্যাগমন করিতে চাহিনী, আর আমি ব্রাহ্মণীর প্রেমে আবদ্ধ থাকিতে ইচ্ছা করি না, অতুল ঐশ্বৰ্য্য দিয়াছেন দেখিয়৷ আসিয়াছি, কিন্তু তাহাতে আমার স্পৃহা নাই। শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র তখন সহস্যে কহিলেন, ব্রাহ্মণ ! আমাকে দোষী করিতেছ কেন ? তুমি স্মরণ করিয়া দেখ, আমি তোমার কল্যাণার্থ কি করিয়াছি। তুমি সৰ্ব্বপ্রথমে আসিয়াই অবস্থ। পরিবর্তন করিবার জন্য অর্থ প্রার্থনা করিয়াছ, কিন্তু আমি সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া তোমায় বৈরাগ্য শিক্ষা দিবার জন্য নানাপ্রকার চেষ্টা করিয়াছি, কিন্তু স্মরণ করিয়া দেখ, তুমি জড় পদার্থের নিমিত্ত কত প্রার্থনা করিয়াছ। তোমার ব্রাহ্মণীর পুত্রের সাধ ছিল, আমি স্বয়ং র্তাহাকে মা বলিয়া স্তন্যমুধা পান করিতেছিলাম। কিন্তু কি করিব, তথায় দীর্ঘকাল থাকিতে দিলে না। তুমি স্বয়ং লক্ষ্মী রুক্মিণীর নিকটে যাইয়া ঐশ্বৰ্য্য কামনা করিয়াছ। লক্ষ্মী কোনমতে তোমাকে ঐশ্বৰ্য্যে নিমগ্ন করিতে চান নাই, কিন্তু কি করিবেন ? তুমি একবার নহে, দুইবার নহে, তিনবার মহে, উপযুপরি অর্থ কামনা করিতে লাগিলে, সুতরাং, তিনি অতুল ঐশ্বৰ্য্য প্রদান করিতে বাধ্য হইয়াছেন। এতক্ষণ আমি তোমার