পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ »१ ] রজে এবং তমো গুণের যে প্রকার কার্য্য কথিত হইয়াছে, তদ্বারা মানসিক শক্তি বৃদ্ধি না হইয়া উহ। একেবারে দুৰ্ব্বলাবস্থার এক প্রাস্তে যাইয়া পতিত হয় এবং নানাবিধ আবর্জনায় পরিপূর্ণ হইয়া থাকে। যমন কোন স্থান শৃষ্ঠ থাকিতে পারে না। অন্য কোন বস্তু পাত্রে ন। রাখিলে বায়ু তাহা অধিকার করিয়া রাখে, সেইরূপ মন শূন্ত থাকিতে পারে না । যে স্থানে বাস করা যায়, সেই স্থানের স্থানিক ভাব যাইয়া উহাকে আশ্রয় করে। যদ্যপি তমো গুণপ্রধান দেশে বাস করা যায়, মনে তমোগুণই প্রবেশ করে, রজোগুণ বা সত্ত্ব গুণ হইলে তাহারাই মনে অধিকৃত হইয়া থাকে। বাল্যকাল হইতে এইরূপে স্থানিক কারণে মন গুণবিশেষ কর্তৃক আক্রাস্ত হইয়া কালসহকারে নিজ ভাবে সকলকে পরিচালিত করিয়া থাকে এবং যে কেহ সেই সমাজে উপস্থিত হন, তাহার মনেও ঐরূপ eাবের ছায়া পতিত হইয়। ক্রমে ভাবান্তর সংঘটিত করিয়া দেয়। এই জন্য সাধন বিষয়ে মনোনিবেশ করিতে হইলে দেশের ধৰ্ম্ম লক্ষ্য করা বিধেয় । গুণত্রয় সম্বন্ধে যাহা সংক্ষেপে কথিত হইল, তাহার দ্বারা স্পষ্ট দেখা যাইতেছে ষে, তমো এবং রজোগুণের কার্য্য অতি সহজ এবং সত্ত্বের কার্য্য নিতান্ত কঠিন, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তাহী নহে । তমো এবং বুজো গুণপ্রধান দেশে আমাদের বাস এবং সেই অবস্থাপন্ন নর নারী হইতে আমাদের জন্ম, সুতরাং এই গুণদ্বয় স্বভাবসিদ্ধ। দেশ শব্দে স্থান এবং নর নারী বলিয়া যাহা উল্লেখ করিয়াছি, তাহার কারণ এক্ষণে অবগত হওয়া যাইবে । রজো তমো গুণের আশ্রয়ে আমরা বাস করি, এস্থানে সত্ত্বগুণ নিতান্ত বিদেশী । সুতরাং তাহার পথ সহসা প্রকাশ পাওয়া কখনই সহজ নহে । &