পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిషిరి ] স্থির থাকিতে পারিলেন না। প্রাণের বেদনা প্রাণপতি ব্যতীত আর কে বুঝিতে পরিবে ? গভীর যামিনীযোগে মহাস্তের শিরোদেশে রঙ্গনাথজী দণ্ডায়মান হইয়া কহিলেন, মহাস্ত ! তোকে এতদুর শক্তি দিলে কে ? আমার অধিকারের উপরে তোর বাহু প্রসারণ করা কেন ? আমি কত যত্নে ঐ বারাঙ্গনাকে আনয়ন করিয়াছি, তাহা তুই কিরূপে জানিতে পারিবি ! ও আমার জন্য অলঙ্কার আনিয়াছে, তাহা পরিত্যাগ করিবার তোর অধিকার কি ? তুই সাধু মহান্ত তাহা সে জানে, অলস্কার তোর জন্য আনে নাই, তুই এমনি মূখ অজ্ঞান যে, তাহা বুঝিতে পারিস নাই ; মহান্ত ! বারাঙ্গনা বলিয়া উহাকে ঘৃণা করিয়াছিস, কিন্তু অজ্ঞান ! একবার বুঝিয়া দেখ দেখি যে, তোর অপেক্ষা কোটি গুণে শ্ৰেষ্ঠ । তুই সন্ন্যাসী হইয় আপনাকে ভুলিয়া গিয়াছিস্ । তুই অতিমানের মূৰ্ত্তিবিশেষ হইয়াছিস্ ! তুই রিপুপরতন্ত্র হইয়াছিস । তুই ভোগবিলাসী হইয়া আমায় বিস্মৃত হইয়াছিস, কিন্তু চাহিয়া দেখ, পামর ! যে বারাঙ্গনাকে দেখিবার জন্য কত সন্তু,াস্ত ব্যক্তি উপাসনা করিয়া বেড়ায়, যে বারাঙ্গন ঐশ্বর্ষ্যের অধিশ্বরী হইয়া স্বর্ণ-শয্যায় শয়ন করিয়া থাকে, অগণন দাস দাসী যাহার পরিচর্য্য করে, সেই বারাঙ্গন৷ ধূলায় বিলুষ্ঠিতা ! ভাবিয়া দেখ, সে কেন হা হুতাশ করিতেছে, কেন শিরে করাঘাত করিতেছে, কেন হৃদয় তাড়না করিতেছে, কেন অনশনে অনাথিনীর ন্যায় আমার দ্বারে পতিত রহিয়াছে। ও আমায় চায়। অলঙ্কারের বিনিময়ে কিছু প্রার্থনা করে না। ওঠ, মুর্থ উহার প্রদত্ত অলঙ্কারগুলি এখনি আনিয়া আমায় পরাইয়া দে । আমি সমুদয় দিব। অনাহারে রহিয়াছি। যে পৰ্য্যন্ত উহার পানভোজন না হয়, সে পৰ্য্যন্ত আমি কেমন করিয়া আহার করিব ? আরও বলি শোন। পূজারির। অতি মূৰ্খ, তাহার বেশভূষার কিছুই অর্থ বুঝেন, যাহা হয় এক প্রকার