[ రిషిని ) ঈশ্বর, অন্তেরও তিনিই ঈশ্বর। সহজ জ্ঞানে যাহা বুঝা যায়, তাহাতে যুক্তি বিচার কেন ? তিনি ক্রোধান্বিত হইয়। উঠিলেন, আমিও প্রস্থান করিলাম । এই কৰ্ত্তাভজাসম্প্রদায়ের মহাশয় যেরূপ আপনার ভাবকে বিশ্বজনীন ভাব করিতে চাহেন, অন্যান্য প্রত্যেক সম্প্রদায়ে সেই ভাব বদ্ধমূল হইয়া আছে। সুতরাং ধৰ্ম্মশিক্ষাগাদিগের পক্ষে দুলঙ্ঘ্য প্রাচীরবৎ ব্যবধান পড়িয়া যায় । আমি সেই অবস্থায় পতিত হইয়াছিলাম। যদিও ধৰ্ম্মের গোড়ামী করিতে জানিতাম, তাহ আমাদের কুলগত ভাব, কারণ বৈষ্ণব পরিবারে গোড়ামীর বিশেষ পারিপাট্য আছে, কিন্তু বিজ্ঞান শাস্ত্র আমাকে সে পথে যাইতে দেয় নাই । এই অবস্থায় আমি সুরিয়া বেড়াইতেছিলাম, এমন সময়ে আমার অদৃষ্ট সুপ্রসন্ন হইল। আমি রামকৃষ্ণদেবের কৃপা লাভ করিলাম। তাহার কৃপায় আমার সমুদয় অভাব বিদূরিত হইয় ঘাইল । আমি তাহার পুত্র হইয়াছি, অভাব কিসের থাকিবে ? আমি যে দিন তাহার পাদপদ্ম দর্শন করিয়াছি, সেই দিন বিশ্বজনীন ধষ্মের আভাস পাইয়াছি, সেই দিন ধৰ্ম্ম জগতের নিদান শিক্ষা করিবার হাতেখড়ি দিয়াছিলেন । সেই দিন তিনি বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের মূলমন্ত্র প্রদান করেন। তিনি বলিয়াছিলেন যে, ধৰ্ম্ম কখন দুই হয় না, ধৰ্ম্ম এক অদ্বিতীয়। সকল দেশের সকল লোকের এক পৰ্ম্ম । যেমন মনুষ্য এক, হিন্দু, মুসলমান, সাহেব, কাফ্রি, চীনেম্যান, রুষ সকলেই মানুষ—এক অদ্বিতীয় মানুষ। শরীরতত্ত্ব (Antomy) এক খানি পুস্তক, সে পুস্তক এক অদ্বিতীয়। যে ভাষায় হউক, মকুষ্যের দুই হাত পার স্থানে অধিক বা কম লেখা থাকে না । এক মুণ্ড, দুই চক্ষু, দুই কর্ণ এবং এক নাসিকার কথা সকলেই বলে । এইরূপ শরীরের বর্ণনা সৰ্ব্বত্রই এক হইয় থাকে। রিপু সকলের সর্বত্রে এক বর্ণনা থাকে। ক্ষুধা পিপাসার এক প্রকার বর্ণনা থাকে জাতি কিস্ব দেশভেদের জন্য
