পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిdఆ ) যাইলে মকুষ্যের ধারণাশক্তি পরাজিত হইয়া যায় । খনিজ এবং অন্যান্ত পদার্থ লইয়া আর দৃষ্টান্ত বৰ্দ্ধিত করিবার প্রয়োজন নাই। ফল কথা হইতেছে যে, বহির্জগতের স্থল পদার্থপুঞ্জের আলোচনায় মানবগণ এতদূর পার্থক্যবোধক জ্ঞান লাভ করে, যে সেই সকল সংস্কার হইতে পরিত্রাণ পাইতে হইলে বিশেষ যত্ন ও অভ্যাসের আবশ্যক হইয়া থাকে। স্কুল জগতের স্থল জ্ঞান আপনিই সঞ্চারিত হয়। এই জ্ঞানোপার্জন করিতে বিশেষ চেষ্টা করিতে হয় না । লীলাময়ের বিশ্বরচনার সুব্যব: স্থাই উপদেষ্টার কার্য্য করিয়া থাকে। স্থলের কার্য্য পরম্পর বিরুদ্ধস্বভাবসম্পন্ন। কাহার সহিত কাহারও সামঞ্জস্য বা ঐক্য হওয। তাহাদের ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ বলিয়া দৃষ্ট হয় । ফলতঃ, বিশ্বসংসার যেন ভালমন্দের সংগ্রামক্ষেত্রবিশেষ । যে দিকে এবং যাহার দিকে দর্শন করা যায়, তাহাকে স্বতন্ত্র ও স্বস্বপ্রধান বলিয়া জ্ঞান হইয়! থাকে । তাহার সহিত কাহার তুলনা হয় না। একটা মনুষ্যের মত ঠিক আর একটা মনুষ্য পাওয়া যায় না, একটী মনুষ্যের বর্ণের ন্যায় আর এক জনের বর্ণ মিলে না, এক জনের প্রকৃতির মত অার একজনের প্রকৃতি হয় না, এক জনের কার্য্যকলাপের সহিত আর এক জনের কার্য্যকলাপের সাদৃপ্ত থাকে ন। আমি যাহা বুঝি, তুমি তাহা বুঝিবে না, আমি যাহা করি, তুমি তাহ। কখন করিবে না, আমি যাহা বলি, তুমি তাহ বলিবে না, ইহাই স্কুলের পরিচয় । দেখিতেছি বিষ, দেখিতেছি অমৃত, দেখিতেছি সাধু, দেখিতেছি অসাধু, দেখিতেছি বিদ্বান, দেখিতেছি মূখ, দেখিতেছি রূপবান, দেখিতেছি কুৎসিত, দেখিতেছি বলিষ্ঠ, দেখিতেছি দুৰ্ব্বল, দেখিতেছি নিরোগী, দেখিতেছি রোগী, দেখিতেছি ধাৰ্ম্মিক, দেখিতেছি অধাৰ্ম্মিক, দেখিতেছি সতী, দেখিতেছি অসতী, দেখিতেছি দিন, দেখিতেছি রাত্রি। এরূপ পার্থক্যতাপূর্ণ স্থানে অব