পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ سووا (ك ] ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। যখন পরিবার মধ্যে কাহারও বিস্তুচিকা হয়, তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া সকলে পলায়ন করে না। সস্তানের রোগ হইলে মাতা দক্ষিণ হস্তে মলাদি পরিষ্কার করেন, স্বামীর পীড়া হইলে স্ত্রী স্বহস্তে সে কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন। যদ্যপি মরিতে হয়, তাহ হইলে ইহাদেরই অগ্রে মরা উচিত, কিন্তু কোথায় সে ঘটনা ? যাহার মরিবার, তাহারাই মরে। বিশেষ সুপণ্ডিত যাহারা, স্বাস্থরক্ষায় বিধাতাপুরুষ যাহারা, তাহারাই যখন বিস্তুচিকাদি রোগে পরাজয় স্বীকার করিতে বাধ্য হইতেছেন, তখন বিজ্ঞানশিক্ষা কর এবং ন করায় কি সমানফল নহে। নিরক্ষর ব্যপ্তি না জানিয়া জলের সহিত বিস্তুচিকাবিষ পান করিল, সুপণ্ডিত সৰ্ব্বদা সতর্ক থাকিয়াও সতর্কত। পূর্ণ হৃদয়ে আহারাদি করিয়া বিস্তুচিকার হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইলেন না, এই কাৰ্য্যক্ষেত্র দেখিলে কি মীমাংসা করা যাইবে ? কাৰ্য্যক্ষেত্রে সকলেরই এক দশা, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। রামকৃষ্ণদেবের উপদেশ মতে বিচার করিয়া দেখিলে এই বুঝা যায় যে, ধৰ্ম্মের নিগূঢ় বিজ্ঞান জ্ঞাত হইয়াই হউক অথবা তাহ না জানিয়া হউক, কাৰ্য্যক্ষেত্রে উভয়ে ফললাভ করিয়া থাকেন। ধৰ্ম্মভাব যে স্থানে যে ভাবে প্রফুটিত হউক, তাহার কার্ষ্য একই প্রকার। যেমন, পিতা মাতাকে শ্রদ্ধা ভক্তি করা সৰ্ব্বব্যক্তির একই ভাব একই কাৰ্য্য । ভগবান সম্বন্ধে যদ্যপি বাস্তবিক ভগবানের সম্বন্ধ থাকে, তাহা হইলে সকলেরই একপ্রকার ভাব এবং এক প্রকার কাৰ্য্য হইবেই হইবে, তদ্বিষয়ে তিলাৰ্দ্ধ সন্দেহ নাই। এই প্রশ্নটা মীমাংসা করিতে হইলে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে সাধারণের বিশ্বাস কি, তাহা একবার দেখা কৰ্ত্তব্য । ভগবানের দুইটি ভাব সকলেই বিশ্বাস করেন। যথা নিত্য এবং লীলা, অথবা অপ্রকাশ এবং প্রকাশ