পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७७१ ] নাই। কারণ, যে বস্তু লইয়া ধারণা, তাহা সৰ্ব্বত্রে এক অদ্বিতীয় এবং পাত্রবিশেষে তাহার কার্য্য স্বতন্ত্র প্রকার হওয়া বিশ্বমণ্ডলের সাধারণ লক্ষণ, তাহা আমরা বিশেষরূপে দেখিয়াছি । এক্ষণে একটা প্রশ্ন উঠিতেছে যে, যাহার যে বিষয়ে যেরূপ ধারণ § তাহা সৰ্ব্বত্রে অভ্রান্ত বলিবার হেতু কি ? নিরক্ষর ব্যক্তি জলের উত্তমধমতা বিষয়ে অজ্ঞান বলিয়া যাহা ইচ্ছ। পান করে, কিন্তু তাহ বলিয়া সেই অজ্ঞানকে কি অভ্রান্ত বলা যাইবে ? বৈজ্ঞানিকেরা সে কথা কখন বলিতে দিবেন না । ধৰ্ম্ম জ্ঞান সম্বন্ধেও সেই প্রকার। অজ্ঞানতাবশতঃ মনুষ্যের অধৰ্ম্মকেও ধৰ্ম্ম বলিয়া বিশ্বাস করেন, মনুষ্যকে ভগবান বলিয়াক্কতাৰ্থ হইতে চাহেন, এ প্রকার অজ্ঞানপ্রস্থত কাৰ্য্যকে বিশুদ্ধ ধৰ্ম্ম বলিয়া স্বীকার করা যাইতে পারে না । বিশুদ্ধ বিচার এবং কাৰ্য্যক্ষেত্রপ্রস্বত জ্ঞান সম্পূর্ণ বিশুদ্ধভাবসম্পন্ন বলিয়া প্ৰভু অদ্বৈতজ্ঞান লাভপূর্বক কাৰ্য্যক্ষেত্র দেখিতে উপদেশ দিয়াছেন । মানসিক কল্পনায় যাহা স্থির করা যায়, কার্য্যক্ষেত্রে তাহ দেখিতে পাওয়া যায় না। মানসে আকাশ কুসুম ফুটাইয় তাহার মালা গাথিয়া পুষ্পশয্যা রচনা করিতে পারি, কিন্তু কার্য্যে তাহা সমাধ। করা যায় না । বৈজ্ঞানিকের ষে সকল কারণ নিরূপণপূর্বক পানীয় জলের যোগ্যাযোগ্যতা বিষয় সিদ্ধান্ত করেন, সেই সকল কারণ সত্ত্বেও কোন স্থলে কোন প্রকার ব্যাধির উত্তেজনা হয় এবং কোথাও হয় না । বিস্তুচিকার বিষ অতি প্রবল, তাহা আমরা দেখিতে পাই । বৈজ্ঞানিকেরা বলেন যে, জলের দ্বারা ঐ বিষ শরীরে প্রবেশ করে । এই নিমিত্ত বিস্তুচিকাগ্রস্ত রোগীর মলমূত্র জলে নিক্ষেপ করিলে রাজদণ্ডাহঁ হইতে হয় । কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে এই আনুমানিক মীমাংসায় বিপরীত