পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ وهياo ] সম্বন্ধে অভিপ্রায় প্রকাশ করিতে অনুরোধ করায়, প্রভু যাহা বলিয়াছিলেন, আমি তাহাই বলিতেছি। কথাগুলি নিতান্ত কটু এবং তিনি কাহার মুখাপেক্ষা করিয়া কোন কথা বলিতেন না, তাহ বোঁধ হয় অনেকেই জানেন । অতএব তাহার কথা উল্লেখ করায় যেন কেহ আমায় অপরাধী না করেন। আমি সত্য কথা বলিতে আসিয়াছি। সত্য কথা গোপন অথবা সাধারণের রুচিবিরুদ্ধ বলিয়া তাহা বিকৃত করিয়া বলা আমার উচিত নহে। রামকৃষ্ণদেব কেশব বাবুকে লক্ষ্য করিয়া বলেন, “ঐ পাতলা সুন্দর যুবকটার ফাত না নড়িতেছে। অবশিষ্ট সকলে কেবল চক্ষু বুজাইয়া রহিয়াছে মাত্র। উহাদের দেখিয়৷ আমার একটা রহস্ত মনে উদয় হইল। আমি দেখিয়াছি যে, দুপুর বেলা রৌদ্রের সময় বাদরগুলো ঝাউতলায় চক্ষু মুদিয়া যেন কত ভদ্রলোকের মত বসিয়া থাকে। কিন্তু তাহারা বাস্তবিক চক্ষু বুজাইয়া বিশ্রাম করে না। তাহারা সেই সময় কাহার মাচায় শশা, কাহার গাছে পেয়ারা, অথবা কাহার চালে কুমড়া আছে, তাহাই চিন্তা করিয়া রাখে। একটু রৌদ্র কমিয়া যাইলে অমনি হুপ, হাপ করিয়া গৃহস্থের বাটতে উপদ্রব করিতে যায়। এই সকল উপাসকদিগের কপট ধ্যান ব্যতীত ঈশ্বরে মনের সংযোগ হয় নাই, কেবল বিষয় চিস্তা করিতেছে । সুতরাং লোকের কাছে যে ভাবে পরিচিত হইতেছে, সে ভাব অন্তরের নহে । কেশব বাবুর ফাত না নড়িতেছে, অর্থাৎ উহার প্রাণ কাটায় ভাবরূপ টোপ ঈশ্বর মীন স্পর্শ করিতেছেন, তাহার মনরুপ ফাত নার দ্বারা তাহ প্রকাশ পাইতেছে।” কেশব বাবু আদি ব্রাহ্মসমাজ হইতে বাহির হইয়া ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মমন্দির স্থাপন করিলেন । রামকৃষ্ণদেব ১৮৭২ সালের ফাঙ্কন কি চৈত্র মাসের বেলা ৯টার সময় বেলম্বরিয়ার বাগানে কেশব বাবুর সহিত