পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లbra ) সাক্ষাৎ করিতে গমন করিয়াছিলেন । কেশব বাবুকে দেখিয়া প্ৰভু লিয়ছিলেন যে, “তোমার লেজ খসিয়াছে।" এই কথা শুনিয়া উপস্থিত ব্যক্তিগণ হাসিয়া উঠেন। কেশব বাবু সকলকে নিরস্ত করিলেন। অতঃপর প্রভু কহিতে লাগিলেন যে, “ব্যঙ্গাচি যখন জলে থাকে, তখন তাহাদের লেজ থাকে। কিন্তু লেজ খসিয়া যাইলে, অমনি লাফাইয়। ড্যাঙ্গায় উঠে।” সেই দিনে রামকৃষ্ণদেবের সহিত কথোপ- ' কথনে কেশব বাবুর যে প্রকার অবস্থস্তার হয়, তাহা ১৮৮৬ সালের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর তারিখের ইন্টারপিটার নামক পত্রিকায় উল্লিখিত আছে। যথা, “অকুমান একাদশ বৎসর অতীত হইল, একদিন প্রাতঃকালে বেলঘরিয়ার তপোবনে কেশব বাবু এবং তাহার শিষ্যেরা স্নানাদি করিতেছিলেন, এমন সময় পরমহংসদেব তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি কিয়দণ্ডের মধ্যে র্তাহাদের অস্তরে প্রেমের আলোক প্রজলিত করিয়াছিলেন, তাহা এতাবৎকাল সমভাবে সংরক্ষিত হইয়াছিল এবং জ্ঞান হয়, তাহ কেহ কালকবলিত হইলেও নিৰ্ব্বাপিত হইবে না।” “ কেশব বাবুর ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসম্প্রদায় দ্বিখণ্ড হইয়া সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইলে রামকৃষ্ণদেব তথায় যাইতে ছাড়েন নাই এবং ব্রাহ্মসমাজনেতা শিবনাথ বাবু এবং বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় তাহার নকট গমন করিতেন। বলিতে কি, শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় আমাদগকে রামকৃষ্ণদেবের ভাবসম্বন্ধে প্রথমে চক্ষু ফুটাইয় দেন । শিবনাথ বাবু বলিয়াছিলেন যে, “পরমহংস মহাশয় যাহা বলেন, তাহাতে বিশেষ সূতনত্ব থাকুক, বা না থাকুক, কেন না, কোন না কোন ধৰ্ম্মগ্রন্থে তাহার স্বাভাস পাওয়া যায় । ওর মহত্ব কোথায় ? মা বলিয়া মাতুহার বালকের ন্যায় কাদিয়া বেড়ানই মহত্ব । ধৰ্ম্মের জন্য উনি যেরূপ কাতর