পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ રક્ત ] করেন, কিন্তু মৃত্তিকায় তাহার প্রতিবিম্ব দেখা যায় না, প্রস্তরে তাহাকে ধরা যায় না, স্বচ্ছ পদার্থের প্রয়োজন হইয় থাকে । আমরা দেখিতে পাই যে, জলে কদম মিশ্রিত থাকিলে তন্মধ্যে স্থৰ্য্য দেখা যায় না, কিন্তু উহা কৰ্দমবিহীন হইলে বিনা প্রয়াসে সূর্য্য দেখা যায়। রজঃ তমে। বিমিশ্রিত মনের অবস্থা ও সেই প্রকার । ঈশ্বর সাধনার নিমিত্ত সত্ত্ব গুণাবলম্বন করা বিধেয় বলিয়। কথিত হয় এবং সেই প্রথানুসারে সাপকের পরিচালিত হইতে বাধ্য হইয়া থাকেন সাহার, ঈশ্বর দর্শনাভিলাষী, অথবা যাহার। নিৰ্ব্বাণাদি মুক্তির প্রার্থী, তাহাদিগকে সত্ত্ব গুণও অতিক্রম করিয়া যাইতে হয় ; রামকৃষ্ণদেব এই অবস্থাকে গুণাতীত বা শুদ্ধসত্ত্ব কহিতেন। তিনি ললিতেন যে, গুণত্রয় তিন সহোদরবিশেষ । তাহার। প্রকৃতির তিন পুত্র । একজন পাকিলে আর একজন আসিলে ও আসিতে পারে । 玩 তিন গুণের হস্ত হইতে বিযুক্ত হইতে ন পরিলে বাস্তবিক সাধকের অব্যাহতি পায় না । এই নিমিত্ত সত্ত্ব গুণী ঋষি মুনির রজঃ তমোভাবের নানাবিধ উপাখ্যান প্রচলিত আছে । সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ তিন সহোদর, উহার মায়াশক্তির গভজাত বলিয়া উল্লিখিত আছে । মায়াশক্তির দ্বারা মায়াতীত বস্তুকে ধর যায় না ; যেমন, দর্শণেন্দিয়ের অতীত পদার্থকে দর্শনশক্তির দ্বার দর্শন করা যায় না, তাহাকে উপলব্ধি করিতে হইলে উপায়ান্তর অবলম্বন করা বিধেয় । এই নিমিত্ত সত্ত্ব গুণের দ্বারা গুণাতীত ঈশ্বর সম্বন্ধে প্রকৃত জ্ঞানলাভ করা যায় না। গুণত্রয়ের কার্য্য সম্বন্ধে প্রভু আমার একটী গল্প বলিতেন। পূৰ্ব্বকালে কোন ব্যক্তির বাটীতে তিনটা চোর প্রবেশ করিয়৷