[ 8x७ ] অপকৰ্ষত জমাখরচের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া থাকে। এদেশের লোকেরা কয় জন ব্যবসা বাণিজ্য দ্বারা উন্নতি লাভ করিয়াছে ? কেবল গোলামী, গোলামী, গোলামী ব্যতীত আর কথা নাই। বঙ্গদেশীয় লোকের কিঞ্চিৎ অর্থ সংগ্রহপূর্বক আজ মাথায় করিয়া আঁব বেচিয় বেড়ায়, দুইদিন পরে সে দোকানদার হইয়। ক্রমে মহাজন গদীয়ান হইয়া বসে । আজ একজন শিশি বোতল বিক্ৰী বলিয়। পাড়ায় পাড়ায় রৌদ্রবৃষ্টিতে অভিষিক্ত হইয়া পরিভ্রমণ করিতেছে, কল্য সে বহুবাজারে দোকানদার হইয়া দাড়াইল । উত্তর পশ্চিম দেশীয় ব্যক্তিরাও আজ মাথায় বস্ত্র বন্ধন করিয়া দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, কল্য সে সে ভার মুটের মাথায় দিয়া আপনি “রূপেয়া মে চারিঠে। কাপড়া” বলিয়া প্রতিধ্বনিত করিতেছে, পরশ্ব দিবসে পগেয়াপটিতে সে একজন ক্ষুদ্র দোকানদার, তৎপরদিন সেই অদ্বিতীয় ব্যক্তি গদীয়ান হইয়া বসিয়া থাকে। আমাদের দেশের লোকের ব্যবসার মধ্যে শিখিয়াছে পুস্তকের দোকান করিতে, ছাপাখানা করিতে এবং ঔষধের ও কাটা কাপড়ের দোকান করিতে, আর মণিইরির দোকানদার হইতে শিথিয়াছে। স্ত্রীর অলঙ্কার বাধা দিয়া, বাটীর পাট বন্ধক দিয়া, আত্মীয়ের নিকট অর্থ কর্জ লইয়া ব্যবসা খোলা হয়, পরে ক্রমে ক্রমে সেই অর্থ উদরসাৎ করিয়া হাত পা গুড়াইমী বসিয়া পড়েন । এই নিমিত্ত জমা খরচ বিষয়টার দ্বারা রামকৃষ্ণদেব আমাদের জীবনের উৎকর্ষ সাধন সম্বন্ধে যে অপূৰ্ব্ব উপদেশ দিতেন, তাহা ক্রমে বলিতেছি । 戰 তিনি একটী রহস্তপূর্ণ গল্প বলিয়া জমা খরচের পরিণাম ফল মুকাইয়া দিতেন। তিনি বলিতেন যে, কোন দেশে একজন অতিশয় ধৰ্ম্মপরায়ণ নরপতি ছিলেন । এই রাজ্যে প্রজাদের বিশেষ কোন