পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లిం ) দাসত্বে কিনিয়া লউন।” তৃতীয় চোর ভাবিয়া চিস্তিয়া পথ দেখাইতে গেল বটে কিন্তু উহার বাটীর কিয়দুর থাকিতে কহিল, “ঐ তোমার বাড়ী দেখা যাইতেছে, আর আমি তোমার সহিত যাইতে পারিব না।” এই বলিয়া সে প্রস্তান করিল। এই শেষোক্ত চোর সত্ত্ব, দ্বিতীয় রজঃ এবং প্রথম তমঃ গুণ। যে স্থানে সত্ত্ব পলায়ন করিল, সেই স্থান হইতে ঐ ব্যক্তির বাটী পর্য্যন্ত পথকে শুদ্ধসত্ত্ব বা গুণাতীত কহে । এই নিমিত্ত সত্ত্বগুণাশ্রয় করা সাধনের উদ্দেগু নহে। সাধন প্রণালী দুই ভাগে বিভক্ত ; যথা, সগুণ বা ভক্তি এবং নি গুণ বা জ্ঞান সাধন । স গুণ সাপনায় সাধক গুণযুক্ত হইয়। গুণযুক্ত ভগবানের উপাসন। করেন । ইহা পৌরাণিক এবং তান্ত্রিক মত ; নি গুন সাধন। বৈদান্তিক নিয়মাধীন। এই দুই সাধনাকে পূৰ্ব্বে অবরোহণ এবং আরোহণ বা সংশেবণ এবং বিশ্লেষণ প্রণালী বলিয়া উক্ত হইয়াছে। নিগুণ এবং স গুণ সাধনা লইয়। বিশেষ মতভেদ আছে । কিন্তু আরোহণ এবং অবরোহণ প্রণালী মতে কাৰ্য্য করিয়া দেখিলে ভেদ জ্ঞান থাকে না। ভেদজ্ঞান পাকে না বলিলে মহাকারণে তা হ৷ বুঝিতে হইবে, স্থলের বিযয় নহে । এ বিষয় ব্ৰহ্মশক্তি ও জ্ঞান ভক্তি বক্ততাদ্বয়ে বিশেষরূপে কথিত হইয়াছে ! সে যাহাহউক, নি গুণ সাধনায় সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ আদি গুণত্রয় পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক শুদ্ধসত্ত্বাবস্তায় পতিত হইতে পারিলে উদ্দেশ্য সফল হয়, স গুণ সাধনায় ত্ৰিবিধ গুণ সহকারে ঈশ্বরের সাধন। সম্পন্ন করা যায় । সগুণ সাধনা চারি প্রকার ; সত্ত্ব-তমঃ, সত্ত্ব-রজঃ, সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ ੱਥ: সত্ত্ব । সত্ত্ব যোগ না থাকিলে ঈশ্বরের সম্বন্ধ থাকেন। এই 傣、 প্রত্যেক সাধন বিভাগে সত্ত্বের যোগ আছে ! গুণের ধৰ্ম্মানুসারে সাধনবিশেষেরও কাৰ্য্য বিভিন্ন প্রকার হয়।