পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8૨ના ] রামকৃষ্ণদেব গল্পচ্ছলে যে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, তাহার তাৎপৰ্য্য বাহির করিয়া জীবনে প্রতিফলিত করিতে পারিলে বাস্তবিক প্রত্যেকের কল্যাণ হয়, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। তিনি কাঠুরিয়াকে এগিয়ে লইয়া গিয়া যেরূপ পরিবর্তন দেখাইয়াছেন, তাহ প্রকৃত পক্ষে উপন্যাস নহে। কাৰ্য্যক্ষেত্রের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে তাহার। যথার্থ প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যাইবে । রামকৃষ্ণদেব দেখাইয়াছেন যে “এগিয়ে” যাওয়াই উন্নতির একমাত্র সোপান । একথা অস্বীকার করিবার উপায় নাই । যে যতদূর অগ্রসর হইতে পারে, সে ততদূর উন্নতি লাভ করে । বর্ণপরিচয় পাঠ করিলে যে উন্নতি হয়, রায়চাদ, প্রেমচাদ পাস করিলে কি সেইরূপ উন্নতি হয়, না তাহা অপেক্ষ কোটি কোটি গুণ অধিক উন্নতি জ্ঞান করিতে হইবে ? সভ্যতার প্রারম্ভে ক্ষিত্যপতেজমরুৎব্যোম এই পঞ্চ ভুতকে বিশ্বসংসারের আদি কারণ বলিয়া জ্ঞান করা হইত। পূৰ্ব্ব পুরুষগণ যত অগ্রসর হইতে লাগিলেন, ততই উহাদের অভ্যস্তর হইতে অপূৰ্ব্ব সামগ্রী বাহির হইয়৷ মানসিক এবং সামাজিক উন্নতির স্বারোদঘাটন হইয়া গেল। এই অগ্রসর হওয়া স্থত্রক্রমে আজ আমরা রূঢ়পদার্থ জানিয়াছি, আজ তাহাদের ধৰ্ম্মাদি অবগত হইয়া জীবনের সুখ স্বচ্ছন্দতার সহায়তা সম্পাদন করিতেছি। রূঢ়পদার্থাদির পরস্পর সংযোগসন্তত অভিনব পদার্থ স্থই করিয়া জনসমাজের অভু্যদয়ের সীমা পরিসীমা নাই। তেজ হইতে অগ্রসর হইয়। বিদ্যুৎ, চুম্বক, উত্তাপ আলোক প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন পূৰ্ব্বোক্ত বনাদির ন্যায় নব নব পন্থা পাইয়া, তাহা হইতে কোটি কোটি প্রাণী কোটি কোটি মুদ্রালাভ করিতেছে। কিন্তু যাহার এগিয়ে যাওয়ার স্বত্র অবলম্বন করে নাই, তাহাদের পরপাছকা বহন করা