পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8ed J করিবে ? তাহাদের নবকর্ষিত মস্তিষ্ক ভূমিতে এইরূপ স্থনীতি-নীজ ছড়াইয় দিলে তথায় কুবৃক্ষ জন্মিতে আর কত বিলম্ব হইবে ? এইরূপ নানাপ্রকার দুর্নীতির কার্য্যকলাপ আমরা বাটতে বসিয়া সম্পন্ন করিতেছি । লজ্জার লেশমাত্র নাই। পিতা মাতাকে লজ্জা নাই, পাড়া-প্রতিবাসীকে লজ্জা নাই, বয়োজ্যেষ্ঠকে লজ্জা নাই, একেবারে উচ্ছরে গিয়াছি । এইরূপ পরাধীন ব্যক্তিরা দুনীতির করকবলিত হয় বলিয়া পরমার্থ-তত্ত্বের অধিকারী হইতে পারে না। আমাদের দেশে এই নিমিত্তই ধৰ্ম্মের দুর্দশা ঘটিয়াছে, ধৰ্ম্মের আভ্যন্তরিক মৰ্ম্ম বাহির করিবার মস্তিষ্ক নাই। যাহার মনে যাহা আইসে, তাহার মুখে তাহাই বাহির হইয়া থাকে। আমাদের অবস্থা আর ভাবিয়া উঠা যায় না। কি আর্থিক, কি পারমার্থিক, সকল বিষয়েই শূন্যময় হইয়। গিয়াছে, এ কথার আর বিশেষ বিবরণ দেওয়া বোধ হয় নিম্প্রয়োজন । কিন্তু অনেকে উপরোক্ত ভাব অস্বীকারও করিতে পারেন, এই জন্য, আমি কয়েকটার দৃষ্টান্ত দেখাইতেছি। অর্থেীপাঞ্জনের দুর্গতি দেখিতে হইলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বালকদিগকে দেখিলেই চূড়ান্ত মীমাংসা হুইয়া যাইবে । দেখুন আইন । শত শত যুবা, বৎসর বৎসর পরীক্ষোত্তীর্ণ হইতেছে, কিন্তু তাহার করে কি ? অতি কষ্টে কাহারও দিনযাপন হয় এবং কাহারও হয় না । ট্রামগাড়ীতে উকিলভায়াদের গমনাগমন কি কেহ দেখেন নাই ? কেন তাহাদের গাড়ি ঘোড়া নাই ? এত বিদ্যা শিথিয়া এমন ক্লেশ কেন ? অর্থোপার্জন হয় না । দুঃখের কথা বলিব কি, বিদ্যার দুরাবস্থার কথা বলিব কি, দুই বৎসর হইল ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞান মন্দিরে একজন সহকারীর প্রয়োজন হয়। এই পদের মাসিক বেতন ২৫ টাকা মাত্র। এক