পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 886. I অংশে শ্রেষ্ঠ ছিল না। প্রভুর কৃপায়, কেবল র্তাহারই চরণপ্রসাদ অম্ভ ,পরমার্থতত্বের উপদেষ্টার আসন প্রাপ্ত হইয়াছে। আমাদের গিরিশবাৰু যদিও প্রকাশ্য আচার্য্যের কোন কাৰ্য্য করেন নাই, কিন্তু তিনি প্রভুর কৃপায় নাটকাকারে যে সকল পরমার্থতত্ব প্রকাশ করিতেছেন, তাহার মূল্য কত দূর, যিনি সম্ভোগ করিয়াছেন, তিনিই প্রাণে প্রাণে বুঝিয়াছেন। বুদ্ধদেব চরিত, বিল্বমঙ্গল, রূপসনাতন প্রভৃতি অন্তান্ত অভিনব গ্রন্থাদি তাহার পরিচয়স্থল। প্রভুর রুপ ব্যতীত তিনি পরমার্থতত্বের নিগুঢ় বৃত্তান্ত বোথায় পাইতেন ? এ সকল কি প্রভুর কার্য্য নহে! আর কত বলিব । তাই সবিনয়ে করজোড়ে বলিতেছি যে, রামকৃষ্ণের উপদেশ গুলি যাহাতে আমরা জীবনে প্রতিফলিত করিতে পারি, তাহার চেষ্টা পাওয়া উচিত। তিনি যে জমাখরচের গল্পচ্ছলে আমাদের আত্মোন্নতি সম্বন্ধে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, তাহা অবলম্বন করিলে অবশ্যই আমাদের কল্যাণ হইবে । আমরা বাস্তবিক, কি সামাজিক কি নৈতিক কি আধ্যাত্মিক, সকল বিষয়ে অজ্ঞ হইয়। রহিয়াছি। আমাদের এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া অতীব আবশ্যক। আর কতদিন এ অবস্থায় চলিবে ? আমরা সকলই হারাইয়াছি । মানসিক বঙ্গ গিয়াছে, শারীরিক বল গিয়াছে, ধৰ্ম্মের বল গিয়াছে । এই জন্যই যেদিকে যেরূপ বায়ু বহন করে, আমরা সেই দিকে ऍडक्लिग्नां शांई । আমরা যদি এগিয়ে যাইতে চেষ্টা করি, তাহা হইলে অগ্রসর হইতে কতদিন লাগিবে ? আমরাইত একদিন এই হিন্দুস্থানে একচ্ছত্রী ছিলাম, আমরাইত একদিন পরমার্থতত্বের চরমসীমায় উপনীত হইয়াছিলাম, আমরা এক্ষণে চেষ্টা করিলে না পারিব কেন ? প্রচুর