পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రి( ) কলিযুগের নির্দিষ্ট হইতে পারে ? এই নিমিত্ত, এই পাত্র বিচার দ্বারা আমাদের ধৰ্ম্ম শাস্ত্র সময়ে সময়ে প্রকটিত হইয়াছে। এই নিমিত্ত যুগচতুষ্টয়ের ভিন্ন ভিন্ন যুগধৰ্ম্ম বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। এই নিমিত্ত সত্যযুগে ধ্যান, ত্রেতায় যজ্ঞ, দ্বাপরে সেবা এবং কলিতে নাম সাধনার দ্বারা জীবের পরিত্রাণ পাইবার ব্যবস্থা শাস্ত্রে কথিত হইয়াছে । যুগধৰ্ম্ম বলিলে যে ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বসাধারণের নিমিত্ত নিদিষ্ট হয়, তাহাকে বুঝায় । যুগধৰ্ম্ম থাকিলে যে অন্ত ধৰ্ম্ম সাধন করা নিষিদ্ধ, এমন কোন কথা নহে, কিন্তু অন্য যুগের সাধন যুগান্তরে সমাধা করা যারপরনাই কঠিন এবং সাধ্যাতীত । আমরা সকলে যদ্যপি ব্রহ্মচৰ্য্য সাধনা অবলম্বন করিতে যাই, তাহাতে যে কয় জনে কৃতকাৰ্য্য হইব, বলিতে পারি না। কারণ পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমে সত্ত্বগুণী হওয়া চাই ; সত্ত্বগুণের পর সাধন করিলে ঈশ্বর লাভ হইয়া থাকে। সে । অবস্থা আমাদের নহে এবং আমরা তাহার যোগ্যও নহি । সে যাহা হউক দেশ, কাল, পাত্র এবং উদেশ্বানুসারে ঈশ্বর সাধনের ব্যবস্থা হইয়া থাকে ; সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । কাৰ্য্য কারণ স্থত্রে কথিত হইয়াছে যে, কোন কাৰ্য্য করিতে হইলে কারণ চতুষ্টয়ের নিতান্ত প্রয়োজন। যদ্যপি সে কথা সত্য হয়, তাহা হইলে যে যে কারণে ঈশ্বর লাভ হইবার কথা, তাহ পাত্রাস্তর কিম্বা দেশাস্তর অথবা সময়ান্তর ও উদ্দেশ্বাস্তর হইলে কোনরূপে কাৰ্য্য সাধন হইতে পারে না। কথিত হইল যে, সত্ত্বগুণ ব্যতীত ঈশ্বর লাভ হয় না, সুতরাং সত্ত্বগুণের সাধনারই প্রয়োজন। কিন্তু যুগধৰ্ম্মে সেরূপ গুণের সাধনার কোন প্রসঙ্গ নাই। কলির নামসাধনে গুণের কোন সংশ্ৰব দেখা যায় না । এই নিমিত্ত সৰ্ব্ব সাধারণের বিশ্বাস এই যে, কলিকালে সত্ত্বগুণের সাধনার প্রয়োজন নাই । শাস্ত্রেও উল্লিখিত আছে যে,