পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৮২ ] পাইলে অঞ্জলি পাতিয়া গ্রহণ করিয়া থাকে। প্রয়োজন সকল কাৰ্য্যের মূল। অভাবই সকল কাৰ্য্যসাধনের একমাত্র নিদান । বাটীর সম্মুখে চিকিৎসক থাকিলে তাহার প্রয়োজন হয় না কিন্তু প্রয়োজন সময়ে একজন হাতুড়িয়াকেও আদর করিয়া আনয়ন করিতে হয় । রামকৃষ্ণদেবের উপদেশ এই যে, “আমার গুরু যদি শুড়িবাড়ী যায়। তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।” গুরু যেমনই হউন, শিষ্যের তাহ দেখিবার আবখ্যক নাই। গুরু যে মন্ত্র বলিয়াছেন সেই মন্ত্র জপ, যে রূপ দেখাইয়াছেন সেই রূপ ধ্যান করিয়া যাওয়াই শিষ্যের কৰ্ত্তব্য । গুরু ভগবানের নাম বলিয়া দিয়া থাকেন, গুরু ভগবানের লীলারূপ দেখাইয়া দিয়া থাকেন। ভগবান চিন্তা, ভগবানের নাম করিলে ভগবান কি তাহ শুনিতে পান না, ভগবানের কর্ণে কি এ কথা পৌছে না, তিনি না সৰ্ব্বব্যাপী ? জ্ঞানহীন শিষ্য একথা জামুক আর নাই জামুক, সৰ্ব্বব্যাপী ভগবান কি তাহা বুঝিতে অশক্ত ? তিনি না সৰ্ব্বজ্ঞ, একজন অজ্ঞান তাহাকে ডাকিতেছে, একথা সৰ্ব্বজ্ঞের শ্রুতিমূলে কি প্রতিধ্বনিত হয় না ? একটী বাটীতে একজন লোক বাস করে। র্তাহার নাম ধরিয়াই হউক, আর বাটীতে কেহ আছেন কি না বলিয়া ডাকিলে, তথায় দ্বিতীয় ব্যক্তি না থাকায় সেই এক অদ্বিতীয় ব্যক্তিই প্রত্যুত্তর দিতে বাধ্য। ভগবান বহু নহেন, একজনই নানারূপে নানাভাবে লীলার বৈচিত্র্য সম্পন্ন করিয়া থাকেন । সুতরাং সেই লীলারসময় শ্রীহরিই সাধকের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবার অদ্বিতীয় কর্তা । ফলাফল প্রদান. করিবার শক্তি অদ্বিতীয় শক্তিধরেরই আছে । বিচার করিবার ভার একজন বিচারপতিরই হস্তে ন্যস্ত আছে । তখন র্তাহার দিকে চাহিয়া থাকিলে ভয় কিসের ? চিন্তা কিসের ? ভাবী