পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8vళి ] পরিণাম লইয়া আন্দোলন করিবার আবগুক কি ? মনের গুণে ফললাড় হয়, এ কথা কি আমরা বুঝিতে পারি নাই ? রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, মনই কাৰ্য্যসাধনের একমাত্র কারণ স্বরূপ । আমরা সাক্ষাৎ সম্বন্ধে যে কোন কাৰ্য্যই করি, মনে তাহার বিশেষ সম্বন্ধ না থাকিলে সে কাৰ্য্যের সুফল হয় না। যদ্যপি পুস্তক খুলিয়া সমস্ত দিন বসিয়া থাকি, একটী বর্ণও হৃদয়বোধ হইবে না। মনের ভাব লইয়াই ফলাফলের তারতম্য হইয়া থাকে। আমার প্রভু বলিতেন যে, গুরুকৃষ্ণ বৈষ্ণবের তিনের দয়া হ’ল । একের দয়া না হ’তে জীব ছারেখারে গেল । “এক অর্থে মনকে বুঝাইতেছে । গুরুর কৃপা হইলে কি হইবে, ভগবানের কৃপা হইলেই কি হইবে এবং ভক্তগণের কৃপা হইলেই কি হইবে । মন যদ্যপি গ্রহণ না করে, তাহা হইলে কাহারও দ্বারা কোন ফল ফলিতে পাওর না। মন যাহাতে বিশ্বাসী হইতে পারে, এরূপ ভাবে মনটাকে প্রস্তুত করা কৰ্ত্তব্য । মন অবিশ্বাসী হইয়াই সৰ্ব্বনাশের পথোয়ুক্ত করিয়া রাখিয়াছে। তাই রামকৃষ্ণদেব আপনি গুরুকরণ করিয়া গুরুবাক্যে বিশ্বাসী হইবার জন্য শিক্ষা দিয়া গিয়াছেন। তিনি বলিতেন যে, ভগবানকে লাভ করিতে হইলে গুরুবাক্যে বিশ্বাস করা ব্যতীত দ্বিতীয় পন্থা নাই। বিশ্বাসই ঈশ্বর লাভের একমাত্র উপায় । ঠাকুর বলিয়াছেন, যেমন হস্তী বন্ধন করিতে হইলে রজ্জর প্রয়োজন হয়, তেমনি ভগবান সম্বন্ধে বিশ্বাস বুঝিতে হইবে। বিশ্বাস বিনা ভগবানকে লাভ করা যায় না । বিশ্বাসেই জগৎ চলিতেছে। বিশ্বাস না করিলে এক মুহূৰ্ত্ত কাৰ্য্য চলে না।