পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8సారి ) একই উদ্দেশ্য। তিনি বার বার বলিয়া গিয়াছেন যে, কুতর্ক ছাড়িয়া দাও, কুবুদ্ধির আশ্রয় পরিত্যাগ কর, সরল বিশ্বাসী হইতে পারিলে জানিবার বুঝিবার দেখিবার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকিবে না। তিনি বলিতেন যে, ভগবানকে কে চাহে ? ভগবান সাক্ষাংলাভ না হওয়ায় কাহার প্রাণ ব্যাকুলিত হইয়াছে ? ভগবানের নিরূপণের জন্য কে লালায়িত হইয়াছে ? শুদ্ধ জ্ঞান ভক্তির প্রত্যাশায় কে কাতর হইয়াছে ? এরূপ ঈশ্বরানুরাগী কি একজনও দেখা যায়। ঘরে ঘরে খুজিয়া আইস, পাড়ায় পাড়ায় জিজ্ঞাসা করিয়া আইস, নগরে নগরে অনুসন্ধান করিয়া দেখ, ঈশ্বর লাভের জন্য প্রকৃতপক্ষে কেহ জীবনোৎসর্গ করিয়াছে কি না ? যে দিকে যাইবে, যাহাকে জিজ্ঞাসা করিবে, সেই অবিশ্বাসের পরিচয় দিবে। ইহা হইতে পারে, ইহ হইতে পারে না, এ শাস্ত্র সত্য, ও শাস্ত্র মিথ্যা, ভগবান এমন, ভগবান এমন নহেন, তাহার এই রূপ, এই ধৰ্ম্ম তাহার স্বরূপ, ইহা ব্যতীত তিনি অন্য কিছুই নহেন ; অমুক বলিয়াছেন যে, তিনি আকারাদি বিবর্জিত শুদ্ধ আত্মস্বরূপ, অমুক বলিয়াছেন, তিনি তাহা নহেন ;—এইরূপ আপনাপন ক্ষুদ্র বুদ্ধি এবং ধারণার বশবর্তী হইয়া সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বরকে আপনাদের কেনা বেচার মধ্যে রাখিয়াছে । ফল ফলিবে কিরূপে ? এই জন্য তিনি সকাতরে বলিতেন যে, তাহাতে বিশ্বাসী হও । বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, বাস্তবিক ভগবান নহে ; ভগবানের তত্ত্বকথা আছে বলিয়া তাহা বিশ্বাস - করিতে হয় কিন্তু তাহাতে র্তাহার অনন্ত মহিমা কি লিপিবদ্ধ হইতে পারে । তাহার মহিমা কি কখন ভাষায় সীমাবদ্ধ হইতে পারে! তাহার কথা বলিতে ভাষা ভাসিয়া যায়, বেদ পুরাণ আকাশে মিশাইয়া যায়, বাইবেল কোরাণ অতল জলধিগর্ভে নিমগ্ন