পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 888 হইয়া যায়, বলিবে কি ! বিশ্বস্রষ্টা পরম বিভু চিনির পর্বতবিশেষ, জ্ঞানী বিজ্ঞানী ঋষি মহৰ্ষি সকলে পিপীলিকা বিশেষ, শুকদেব গোস্বামী না হয় ডেয়ো পিপিলিকা। তিনি একটী বড় দান৷ মুখে ধরিয়া টানিয়াছেন, তাহাতে কি পাহাড় আকর্ষণ করা হইয়াছে ? অনন্তদেবের অনন্ত মূৰ্ত্তি, অনন্তের ইয়ত্তা’ কখন হয় না, হইবার নহে । এই জন্য র্তাহাকে বিশ্বাস করা ব্যতীত আর দ্বিতীয় পন্থা নাই। এইজন্য বলিতেছি যে, রামকৃষ্ণদেবকে বিশ্বাসের আদর্শ করিয়া ধৰ্ম্ম-জগতে প্রবেশ করা একমাত্র সুপরামর্শ। রামকৃষ্ণদেব শিষ্যের আদর্শ। তিনি বলিতেন যে, গুরু মিলে লাখ লাখ, চেলা নাহি মিলে এক। চেলা হইবার উপযুক্ত হইতে হইলে কিরূপ ভাবাশ্রয় করিতে হয়, তাহা এক রামকৃষ্ণেই প্রকাশিত আছে। রামকৃষ্ণদেবের দৃষ্টাস্তানুসারে বুঝা গেল যে, বিশ্বাসী হওয়াই শিষ্যের কৰ্ত্তব্য । এক্ষণে কথা হইতেছে যে, কেবল বিশ্বাসী হইলেই কি সফল মনোরথ হইবে ? বিবেক বৈরাগ্যাদির কথা শুনা যায় কেন ? রামকৃষ্ণের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই এই অত্যাবশ্বকীয় প্রশ্নের প্রত্যুত্তর প্রাপ্ত হওয়া যাইবে । রামকৃষ্ণদেব প্রকাশ্যভাবে গৃহী ছিলেন । তাহাকে কেহ কখন গৈরিক বসন পরিধান করিতে দেখেন নাই, দণ্ড-কমণ্ডলু লইয়া স্বারে দ্বারে ভ্রমণ করিতেন না। কেশ মুণ্ডন করিয়া স্বামী কিম্বা বাবাজী অথবা পরমহংস ইত্যাদি উপাধি সংযুক্ত হন নাই। যদিও পরমহংস শব্দটীর দ্বারা তাহাকে সম্বোধন করা হয়, কিন্তু তাহা তাহার নিজের অথবা গুরুদত্ত উপাধি নহে। পরমহংসেরা ঐ নামে র্তাহাকে ডাকিতেন বলিয়া এবং কেশব বাবু ঐ নামটী প্রচার