পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s te > ] বিশেষ। দুগ্ধকে দধি করিয়া মন্থন করিলে নবনীত বাহির হয়। দধি নবনীত নহে। যদ্যপি আমরা নবনী প্রাপ্ত হই, দুগ্ধকে দধি করিয়া মন্থন করিবার আবগুকত কি ? রামকৃষ্ণদেব অদ্বৈত জ্ঞান সম্বন্ধে সেইরূপ অতি সাধারণ দৃষ্টান্ত দ্বারা এই অতি কঠিন ব্রহ্মতত্ত্ব নিরূপণ করিয়া গিয়াছেন। বেলের দৃষ্টান্তে তাহ বলিয়াছি । তিনি আরও বলিতেন, যেমন কলা গাছ খোসা ছাড়াইতে ছাড়াইতে মাঝে যাওয়া যায়। মাঝ হইতে পুনরায় খোসা পর্য্যন্ত ফিরিয়া আসিলে, খোসা এবং মাঝ এক সদায় সংগঠিত হইয়াছে বলিয়া বুঝা যায়। অথবা স্থৰ্য্য এক অদ্বিতীয়, সমগ্র পুথিবীতে এক সূর্য্যই কাৰ্য্য করিতেছে। দেশের ভাষাভেদে সুর্য্যের নামান্তর হয়, তাহ বলিয়া বস্তুর বিপর্য্যয় হয় না। জল এক বস্তু কিন্তু উহা ও ভাষান্তরে নান৷ শব্দে কথিত হয় । জলের বিবিধ নাম আছে বলিয়া কি জল নান প্রকার ? কখনও নহে। সেইরূপ ঈশ্বর এক অদ্বিতীয়, তাহার ভাব ठान्नु । আলোক হইতে ছটা বহির্গত হয় । ছটা বহু কিন্তু আলোক এক । কেন্দ্র হইতে অসংখ্যক সরল রেখা বাহির হইয়া পরিধি সম্পূর্ণ করিয়া থাকে। পরিধির বিন্দু সংখ্যা বহু কিন্তু কেন্দ্র এক অদ্বিতীয় । বাটীর কর্ড। একজন কিন্তু পরিজন বহু। এই সকল দৃষ্টাস্তের মধ্যে যদ্যপি একটা দৃষ্টান্ত ধারণ হয়, তাহা হইলে তাহার বেদান্ত পাঠের ফল লাভ হইয়া যায় । . অৰৈত জ্ঞানই বেদান্ত শাস্ত্রের অভিপ্রায় । এইরূপে অদ্বৈত জ্ঞান লাভ করিলেই বেদান্ত পাঠের ফল লাভ হইয়া যায়। অদ্বৈত জ্ঞান লাভ পূৰ্ব্বক কালী বলিয়া হউক, দুর্গ বলিয়া হউক, শিব বলিয়া হউক, রাম বলিয়া হউক, কৃষ্ণ বলিয়া হউক, গৌরাঙ্গ বলিয়া হউক, বুদ্ধ বলিয়।