পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ & 2 e ] কেহ সাব্যস্থ করিতে পারেন না, তন্ত্রও তদ্রুপ । এক শাস্ত্র আর এক্ষণে সৰ্ব্বত্রে কার্য্য করিতে পরিবে না। এইজন্য কেবল শাস্ত্রের মতামত লইয়া আন্দোলন করিতে হইলে মঙ্গলের পরিমাণপেক্ষা অমঙ্গলের পরিমাণ অধিক হইয়া বাইবে । শাস্ত্র লইয়া গোলোযোগ সংঘটিত হইবে । সাম্প্রদায়িক ভাবের দেশ দণ্ড প্রতাপ বিস্তারিত হইবে । ফলে, সৰ্ব্বত্রে অশাস্তির রাজ্য স্থাপিত হইয়। যাইবে । কিন্তু রামকৃষ্ণের মতে কল্যাণের পরিমাণই অধিক। এক পরমাণু অকল্যানের আশঙ্ক। নাই । র্তাহাকে শাস্ত্রদ্বেষী অথবা শাস্ত্রবিশেষের পক্ষপাতী বলা যায় না । শাস্ত্রের প্রকৃত ভাব মতে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করা, জীবনে ধৰ্ম্মভাব প্রতিফলিত কর। ইঁহীর উপদেশ । তিনি কাল এবং নরনারীদিগের কালোচিত অবস্থা বিবেচন। পূর্বক ভক্তিমাৰ্গই প্রশস্ত পথ বলিয়া গিয়াছেন । জ্ঞানশন্স ভক্তির দ্বারা যদিও ভক্তের কার্য্য সিদ্ধ হয় বটে কিন্তু বৰ্ত্তমান জ্ঞান-প্রধান কালে জ্ঞান-শৃষ্ঠ ভক্তি সৰ্ব্বত্রে কার্য্যকারী হইবে না বলিয়া তিনি কালধৰ্ম্মের সূত্রপাত করিয়া গিয়াছেন । এইজন্য তিনি বলিয়াছেন যে, “অদ্বৈত জ্ঞান আঁচলে বাধিয়া যাহা ইচ্ছ তাহাই কর।” এই জ্ঞান লাভের নিমিত্ত বেদান্ত পাঠ করিতে যাহার শক্তিতে সংকুলান হইবে, তাহার তাহা নিষেধ নাই । অনন্তকাল ধরিয়া তিনি বেদান্তচর্চা করুন, অনন্তকাল ধরিয়া তিনি যোগের প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত থাকুন, তাহাতে অন্যের কিছুমাত্র ক্ষতি বৃদ্ধি নাই। কিন্তু বেদান্তে সকলের অধিকার নাই। যে সংস্কৃত ভাষায় অজ্ঞ, তাহাকে বৃদ্ধদশায় পুনরায় ব্যাকরণ পড়িতে হইবে । ব্যাকরণ পড়িলেই বা কি ফল ফলিবে! রামকৃষ্ণদেব তজ্জন্য এই পৃথিবীস্থিত সামাঙ্গ বস্তুর দ্বারা বেদান্ত শাস্ত্রাদির মৰ্ম্ম বাহির করিয়৷ দিয়া গিয়াছেন । ভাষা শিক্ষা করা বেদাস্ত শিক্ষার উদ্দেশ্য নহে, উহা উপায়