পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}-\9ం - عصا؟ لـ সাধনা কলির যুগধৰ্ম্ম বলিয়া উল্লেখ করিয়া অসমর্থদিগে পক্ষে রামকৃষ্ণে বকলম দিবার ব্যবস্থা উল্লেখ করিয়াছি। এক্ষণে অনেকের মনে সন্দেহ হইতে পারে, অনেকে এই কথায় প্রতিবাদ করিতে পারেন যে, এক সময়ে এক প্রকার ব্যবস্থ না হইয় তাহার প্রকারাস্তর হইবার হেতু কি ? কলিকালের যুগধৰ্ম্মে ধ্যান নাই বলিয়া বার বার কথিত হইয়াছে, কিন্তু রামকৃষ্ণদেব সেই ধ্যানেরই ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন, অতএব সৰ্ব্বাগ্রে ধ্যান, নাম এবং বকল্মা, এই তিনটী বিষয়ের মীমাংস৷ হওয়া আবশ্যক । ধ্যান শব্দের তাৎপর্য্য কি ? মনোমধ্যে কোন বস্তু বা বিষয় লইয়া ভাবন করার নাম ধ্যান । ঈশ্বর বিষয় ব্যতীত বিষয় সম্বন্ধে মনের ঐরূপাবস্থার নাম চিন্তা এবং ঈশ্বর সম্বন্ধে ধ্যান শব্দ প্রয়োগ হইয়া থাকে। ফলে মনের ভিতরে ভগবান ভাবন করিবার নাম ধ্যান । ধ্যানে মনের কার্য্য প্রকাশ পাইয়া থাকে । মুখে নাম করা যায়, সুতরাং ইহাতে মনের সম্বন্ধ নাই বলিয়৷ অনেকের সংশয় আসিতে পারে । নাম যে কেবল মৌখিক বিষয় এবং মনের অধিকার বহিভূত, তাহ। কখনই নহে। নাম করিবার পূর্বে মনের ভিতরে নামের তাৎপৰ্য্য বোধ অবগাই হইয়া থাকে । যে পৰ্য্যস্ত মনে নাম পরিব্যাপ্ত না হয়, সেই পৰ্য্যস্ত কাহার মুখে ভগবানের নাম বাহির হইতে পারে ন৷। মনের সহিত নামের সম্বন্ধ ব্যতীত যে নামো চচারণ করা যায়, তাহাকে নাম সাধনা বলা যায় না । বকল্মায় আত্মনিবেদনের ভাব আছে। যাহাঁদের সাধনাদি করিবার শক্তি নাই, তাহাদের পক্ষে বকল্মার বিধি বিধায় তথায় মানসিক কাৰ্য্য নাই বলিয়া সাব্যস্থ করা বিধেয় নহে। বকল্মায় যদিও সাধনা বলিয়া কোন বিশেষ প্রকার মানসিক কাৰ্য্য করিতে হয় না, কিন্তু