পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ لان | যাহাতে আত্ম নিবেদন করিতে হয় বা বকলম! দেওয়া যায়, তাহাতে সৰ্ব্বক্ষণ মন লিপ্ত হইয়া থাকে, সুতরাং তথায় মনের সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হইতে পারে না। ধ্যানেই হউক, নামেই হউক এবং বকলমায়ই হউক, মনের সম্বন্ধ অতিক্রম করিয়৷ কোন কার্য্যই হইবার সম্ভাবনা নাই । ধ্যান, নাম এবং বকল্মা, তিনটা স্বতন্ত্র শব্দ হইলেও এবং এই তিনটী শব্দের স্বতন্ত্র কার্য্য হইলেও ইহাদের উদ্দেশ্য একই প্রকার। ধ্যানের উদ্দেশ্য ভগবান, নামের উদ্দেশ্য ভগবান এবং বকল্মার উদ্দেশ্য ভগবান। মনের ভাবকে উদ্দেশ্য কহে, অতএব এই তিনটা ভিন্ন ভিন্ন সাধনার তাৎপৰ্য্য এক ভাবেই পর্য্যবসিত হইতেছে। এই ভাব মনের, সুতরাং উক্ত ত্ৰিবিধ কার্য্যে মনের সম্বন্ধ আছে বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে । ধ্যান, নাম এবং বকলম, এই তিনটীর কার্য্য পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে বুঝা যায় যে, নাম এবং বকলম! ধ্যানের হেতুবিশেষ। কারণ, ধ্যান করা সাধকের প্রথম সাধনা নহে । {} ধ্যানের যোগ্যতা লাভ করিবার নিমিত্ত সাধক সৰ্ব্বপ্রথমে মন্ত্র জপ করিয়া থাকেন । জপে সিদ্ধ হইলে তিনি ধ্যানের অধিকারী হইতে পারেন । জপের উদ্দেশ্য এবং কার্য্য যেরূপ, নামের উদ্দেশ্য এবং কার্য্যও সেইরূপ। জপ এবং নাম একই প্রকার, কেবল সাধনায় কিঞ্চিৎ পার্থক্য দেখা যায় । জাপক সৰ্ব্বাগ্রে মুখে মন্ত্ৰোচ্চারণ করিতে শিক্ষা করেন, মন্ত্র সম্পূর্ণ কণ্ঠস্থ হইলে ক্রমে তাহা মনে প্রবেশ করিয়া থাকে। সাধক যখন মনে মনে মন্ত্র জপ করিতে সক্ষম হন, তখন তিনি ধ্যান করিবার অধিকারী