পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૧૪ ] সুতরাং সেই সময়ের মানসিকাবস্থা ভগবান হইতে পরিভ্রষ্ট হইয়। যাইত। ঐ ভদ্র লোক সদা সৰ্ব্বদ। সাধুকে লইয়া অন্তঃপুরে স্ত্রীমণ্ডলীর মধ্যে কাল ক্ষেপণ করিতেন, সাধুর এই নবভাব বড়ই আনন্দজনক বোধ হইত। তিনি স্থালোকদিগের সহিত সদালাপন করিবার জন্য সৰ্ব্বদা তাহদের নিকটে আপনিই উপস্থিত হইতেন । সিদ্ধ পুরুষ তিনি, এই জ্ঞানে কেহ কোন প্রকার সন্দেহ করিতেন না। সাধু যে মনে ভগবান চিন্তা করিতেন, সেই মনে এক্ষণে কামিনী ভাব যাইয়৷ অধিকার করিল । যদিও তিনি রমণীমণ্ডলী পরিবেষ্টিত থাকিতেন, তাহা হইলেও তাহার চরিত্র সস্বন্ধে তখন কোন কথা শ্রুত হওয়া যায় নাই । চরিত্র দোষ হউক বা না হউক, কিন্তু ক্রমে ক্রমে তাহার অবস্থান্তর হইতে লাগিল । তিনি সিদ্ধপুরুষ বলিয়। দেশ দেশান্তরে পরিচিত হইলেন, অনেকেই তাহাকে গুরুত্যে বরণ করিলেন ; গুরু হইয়া সাধুর মনে আর এক প্রকার ভাব প্রবেশ করিল। পূৰ্ব্ব হইতে বিলাসী হইয়৷ ছিলেন । শিষ্যরন্দ বুদ্ধি হওয়ায় ক্রমে প্রকৃত পক্ষে ঘোর বাবু হইয়া উঠিলেন । যে ব্যক্তি এক সময়ে রাত্রিতে জলনিমগ্ন হইয়া এবং দিবাভাগে বিভূতি প্রলেপন দ্বারা শীত ঋতু সম্ভোগ করিতেন, সে ব্যক্তি স্থানের গুণে শালের জোড়া পরিয়া গদির উপরে শালের আসন বিছাইয়া ক্ষীর সর পুরী কচুরী মোহনভোগাদি রাজভোগ আহার করিয়া দিন যাপন করিতে লাগিলেন। কিছু দিনের পর তিনি এক দেবালয়ের মোহন্ত পদ প্রাপ্ত হইলেন । এই মঠের বাৎসরিক পনের হাজার টাকা আয় ছিল । সাধু কাঞ্চনের অধীশ্বর হইয়া অতি অল্পদিনের মধ্যে কামিনীর করগত হইয়া পড়িলেন। যে উদ্যানে তিনি বাস করিতেন, পূৰ্ব্বে তথায় সামান্ত কুটারাদি ছিল, সাধু