পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VS) বামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ আব্ব একদিনের কথা স্মরণ আছে। একদিন প্ৰাতে লাহিডী মহাশযের সহিত গঙ্গাব ধারে বেডাইতে গিয়াছিলাম। ঘবে ফিরিবার সময়ে পথে তিনি বলিলেন—“একজন সাধু পুরুষকে দেখে আজকার দিনটা, সার্থক করবে ? আমি বলিলাম-“এব চেয়ে সুখেব বিষয। আর কি আছে ?” তখন DDD BDDDBDS DKBDD D KBD BBDD DBDD BBBB BBB উপস্থিত হইয়া যে ভাবে তাহাকে আলিঙ্গন করিলেন ও তাহার প্রতি যে গ্ৰীতি ও শ্রদ্ধা প্ৰকাশ করিলেন, তাহা দেখিযা আমি মুগ্ধ হইযা গেলাম। ফলতঃ লাহিড়ী মহাশয় যেখানেই অরুত্ৰিম সাধুতা দেখিতেন। সেইখানেই অকপটে আপনার প্রীতি ও শ্রদ্ধা দিতেন। তঁহার কাছে হিন্দু, মুসলমান, শ্ৰীষ্টীয়ান বিচার ছিল না। অনেকদিন এইরূপ হইয়াছে, তিনি কৃষ্ণনগব হইতে সহবে আসিযাছেন, শুনিয়া আমরা তাহার অন্বেষণে বাহির হইলাম, গিয দেখি তিনি বাবু শ্যামাচাবণ বিশ্বাসের বাডী দুই দিন রহিয়াছেন, অথব। কালীচৰণ ঘোষেব বাড়ীতে আছেন, অথবা কোনও খ্ৰীষ্টীয় বন্ধুব অতিপি হই যা। রহিয়াছেন। সর্বশ্রেণীর, সর্বসম্প্রদায্যের মধ্যে র্তাহাব বন্ধু ছিল , সকল শ্রেণীবি লোককেই তিনি ভালবাসিতেন । এই তাহতাব চব্বিত্ৰোব আব্ব একটি গুণ, যাহা দেখিযা আমরা বডই মুগ্ধ হইতাম । ১২৭৭ বঙ্গাব্দ (১৮৭০) ৩বা আষাঢ় দিবসে ক্লষ্ণনগবে তাহতাব তৃতীয পুত্ৰ বিনয়কুমাবেব জন্ম হয়। তৎপুর্বে ১৮৬৬ সালে আর একটি পুত্ৰ সন্তান জন্মিযা অল্প বয়সেই ভাগলপুবে অবস্থিতিকালে গীতাসু হয । ১৮৭২ সালে যখন উন্নতিশীল ব্ৰাহ্মদলে স্ত্রী-স্বাধীনতার আন্দোলন উপস্থিত হইল, তখন লাহিডী মহাশয় স্ত্রী-স্বাধীনতাপক্ষীয়দিগের প্রতি বিশেষ অনুবাগ প্ৰদৰ্শন করিতে লাগিলেন। এই সূত্রে হাইকোটেব ভূতপূর্ব বিচাবিপতি Sir J. B. Phear ও তাহাব গৃহিণীর সহিত তাহাব আলাপ পবিচাষ ও আত্মীয়তা জন্মে। স্ত্রী-স্বাধীনতাদলের অগ্ৰণী হইয়া একবাব তিনি স্বীয ভ্রাতুষ্পপুত্রীদিগকে লইয়া টাউন হলে কেশববাবুর বক্তৃতা শুনিতে গেলেন , এবং তাহাদিগকে প্ৰকাশ্য স্থানে বসাইলেন । ইহাতে তাহার প্রাচীন বন্ধু প্যারীচঁাদ মিত্র তাঁহাকে তামাসা করিয়া বলিলেন—“কি হে বামতনু ! বুডো বয়সে শিং ভেঙ্গে বাছুরের দলে মিশলে নাকি ?” লাহিড়ী মহাশয় টাউনহল হইতে আসিয়া আমাকে ৰালিলেন-“প্যারীর বোধ হয়। ইচ্ছা ছিল মেয়েদেব সঙ্গে পরিচিত হয়, কিন্তু ওরা হালকা লোক, আমি মেযেদের ত্ৰিসীমায আসতে দিলাম না।” ইহাতেই সকলে বুঝিবেন তিনি অত্যগ্রসর হইযাও আদব কায়দার প্রতি কিরূপ দৃষ্টি রাখিতেন। তৎপরে স্ত্রী-স্বাধীনতা পক্ষীয়গণ ‘হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়” নামে যে বিদ্যালয় স্থাপন করিলেন, তিনি আপনার দ্বিতীয়া কন্যা ইন্দুমতীকে সেই স্কুলে দিলেন । নারী জাতির প্রতি লাহিড়ী মহাশয়ের বিশেষ শ্ৰীতি ও শ্রদ্ধা ছিল। নারীগণের