পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

敬敏 রত্ন-রহস্ত । বলিয়া জানিবে। জাত্যমণিতে ঐ সকল ঘটনা হয় না । শব্দকল্পক্রমধৃত যুক্তি কল্পতরু নামক গ্রন্থের অন্ত এক প্রমাণে চতুর্থ প্রকার পরীক্ষার কথাও আছে। १थ! তুল্যপ্রমাণস্ত তু তুল্যজাতেৰ্যো বা গুরুত্বেন ভবেন্ন তুল্যঃ ” তুল্যজাতীয় দুইটী মণি যদি আকারগত প্রমাণে অর্থাৎ দেখিতে তুল্য হয়, পরন্তু তাহা যদি গুরুত্বে অর্থাৎ ওজনে তুল্য না হয়, তাহা হইলে যেটা লঘু সেইটই বিজাত। এতদ্বারা এই সিদ্ধান্ত হইতেছে যে, তুল্যাকার অন্ত মণির সঙ্গে ওজন করিয়া দেখিলেও জাত্য কি বিজাত তাহ জানা যায়। “গুণোপপলেন মহাববন্ধো-মণিবস্তুজাত্যোবিগুণেন জাত্যঃ । সুখং ন কুৰ্য্যাদপি কৌস্তুতেন বিদ্বনি বিজাতিং ন বিভূয়াৎ বুধস্তম্ ॥ “চণ্ডাল একোহপি তথাভিজাতান সমেত্য দুরাদপন্থত্তি যত্নাৎ। তথা মণীন্‌ ভূরিগুণোপপন্নান শক্তোইতিবিদ্রাবয়িতুং বিজাত: ॥" গুণযুক্ত জাত্য মণির সঙ্গে নিগুণ বিজতেমণি ধারণ করিবে না । কৌস্তুভ মণির সঙ্গে বিজাত মণি ধারণ করিলেও মুখের হানি হয় ; এজন্য জ্ঞানবান ব্যক্তি কদাচ তাহা ধারণ করিবেন না । একজন চগুলি যেমন বহু ভদ্র লোকের সহিত একত্রিত হইয় তাহাদিগকে নষ্ট করিতে পারে, সেইরূপ, একটা মাত্র বিজাত মণি বহুগুণসম্পন্ন জাত্য মণিকে নষ্ট বা দোষ বহু করিতে পারে। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, মাণিক্যরত্ন রক্তচ্ছবি-বিশিষ্ট। মাণিক্যমাত্রেই রক্তবর্ণ ৰটে, পরন্তু তন্মধ্যে কিঞ্চিৎ প্রভেদ আছে ; রক্তবর্ণতার প্রভেদ আছে। সেই প্রভেদ অনুসারে নামের ভিন্নত ও মূল্যের তারতম্য হইয়া থাকে। উপরে যে জাতি-গুণের উল্লেখ করা হইয়াছে, ঐ সকল জাতি-গুণ যদি বিভিন্ন বর্ণের প্রস্তরেও সামঞ্জস্ত লাভ করে—তবেই তাহাকে মাণিক বলা যাইবে, নচেৎ তাহ প্রস্তরমাত্র । কোন কোন মতে এই রত্ন রক্তবর্ণ ব্যতীত অন্ত বর্ণও হইয়া থাকে। সেই বর্ণ অনুসারে মাণিক্য চারি জাতি বলিয়া গণ্য হয়। যথা—

    • তদ্রক্তং যদি পদ্মরাগমখ তৎ পীতাতিরক্তং দ্বিধা । জানীয়াৎ কুরুবিন্দকং যদরুণং স্তাদেষু সৌগন্ধিকম্। তন্ত্রীলং যদি নীলগন্ধিক-মিতি জ্ঞেয়ং চতুধর্ণ বুধৈঃ ”

রাজনির্ঘণ্ট ।

  • >装r