পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্ত । of 3 অর্থ এই যে, সেই মাণিক্য যদি রক্তবর্ণ হয়-তবে তাহাকে “পদ্মরাগ” নাম দেওয়া হইবে । আর যদি তাহা পীতাভ কি অতিরক্ত হয়, তবে তাহা দুই প্রকার স্থির করিবে । যাহা অতিরক্ত-তাহ “কুরুবিন্দ” এবং যাহা পীতাভ—তাহ “সৌগন্ধিক’ নামে খ্যাত । এবং যাহা নীলাভ হয়—তাহ “নীলগন্ধি’ বলিয়া জানিতে হইবে । “কলুষ মন্দ্যুতয়োলেখাকীর্ণ সধাতব খণ্ডাঃ । তুর্বিদ্ধ ন মনোজ্ঞাঃ সকর্করাশ্চেতি মণিদোষা: ॥” বৃহৎসংহিতা । কলুষ—মালিন্তযুক্ত। মন্দ্যুতি—দীপ্তির অল্পতা । লেথাকীর্ণ—দাগযুক্ত । সধাতব—ধাতুলগ্ন। খও— ভগ্ন । দুবিদ্ধ—ভালরূপে ছিদ্র করা যায় না। অমনোজ্ঞ—দেখিতে ভাল নহে। সকর্কর অর্থাৎ কঁকির-চিহ্নযুক্ত । মণিমাত্রেই এই সকল দোষ থাকিতে পারে। সুতরাং মাণিক্যেও এই সকল দোষ থাকিতে পারে । রত্নতত্ত্বরিৎ পণ্ডিতের মাণিক্যরত্নের যে সকল দোষ ও গুণ বর্ণন করিয়া গিয়াছেন—ত্রুমে তাহাও উদ্ধৃত করা যাইতেছে। “মাণিক্যস্ত সমাখ্যাত অষ্ট্রেী দোষ মুনীশ্বরৈঃ। দ্বিচ্ছায়ঞ্চ দ্বিরূপঞ্চ সম্ভেদ: কর্করস্তথা । অশোভনং কোকিলঞ্চ জলং যুম্নাবিধঞ্চ বৈ । গুণশ্চত্বর আখ্যাতাছায়াt ষোড়শ কীৰ্ত্তিতাঃ ॥” রত্নপরীক্ষক মুনিগণ মাণিক্যরত্বের আটট দোষ ( মহৎ দোষ ) স্থির করিম গিয়াছেন। দুইটা ছায়াগত দোষ, দুইটী রূপগত দোষ, সম্ভেদ দোষ এবং কর্কর দোষ। এতদ্ভিন্ন অশোভন, কোকিল, জল ও ধূম্ৰ নামক আর চারিট দোষ আছে—তাহাও রত্নশাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে। এবং চারিট গুণ ও ১৬ প্রকার ছায়ার কথাও লিখিত হইয়াছে। ছায়া কি ? এবং তাহ ১৬ ষোল প্রকারই বা কেন ? ইহ পশ্চাৎ ব্যক্ত হইবে । এক্ষণে “দ্বিচ্ছায়” “দ্বিরূপ” “সম্ভেদ’ ও ‘অশোভন’ “কোকিল” “জল” ও “ধূম্র” “কৰ্কর”—এই আটটা দোষ কিরূপ? তাহা বিবৃত করা যাউক । “ছায়াদ্বিতয়সম্বন্ধাৎ দ্বিচ্ছায়ং বন্ধুনাশনম্।” “দ্বিরূপং দ্বিপদং তেন মাণিকোন পরাভবঃ ” 等な為