পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

靴剑 রত্ন-রহস্ত । আয়ু বুদ্ধি হয় ; এবং তাদৃশ রত্নই সৎ, তম্ভিন্ন অসৎ। যাহা বর্ণ অর্থাৎ রঙকে আক্রমণ করিয়া অবস্থিত থাকে, অর্থাৎ যাহা বর্ণকে স্থায়ী করিয়া রাখে—তাহার নাম ছায়া এবং যাহা বর্ণকে প্রকাশ করে—তাহার নাম প্রভ । ফল কথা এই যে, বর্ণের স্থায়িত্বগুণটাই ছায়া এবং তাহার ঔজ্জ্বল্য টুকু প্রভ । রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা মাণিক্যরত্বের বর্ণসম্বন্ধে এইরূপ নিৰ্ব্বাচন করিয়াছেন যে, মাণিক্যরত্নের বহুপ্রকার ছায়া বা বর্ণ থাকিলেও তন্মধ্যে প্রধানতম বর্ণ ১৬ ষোলট । সেই বর্ণ বা রঙ অনুসারে উহা পৃথক পৃথক্ নাম প্রাপ্ত হয় এবং তাছাদেরই তারতম্য অনুসারে মাণিক্যরত্বের মূল্যাদির ভিন্নতা বা অল্পাধিক কল্পনা করা হয় । ইহা বিস্পষ্টরূপে বুৰাইবার জন্য কল্পদ্রুমধৃত যুক্তিকল্পতরুপ্রভৃতিগ্রন্থের প্রমাণ উদ্ধৃত করা গেল । “বৰূকগুয়াসকলেঞ্জগোপ-জবাসমস্তিকসমবর্ণশোভা t ভ্রাজিঞ্চবোদাড়িমবীজবর্ণাস্তথাপরে কিংশুকপুঙ্গভাসঃ ” “সিন্দুপরদ্মোৎপলকুম্বুমানং লাক্ষারসপ্যাপি সমানবর্ণাঃ । সান্দ্রে নিরাগে প্রভয়া স্বয়ৈৰ ভাস্তি স্বলক্ষ্য টমধ্যশোভাঃ ” “কুসুম্ভনীলীব্যতিমিশ্ররাগ-প্রত্যগ্ররক্তাম্বরতুল্যভাসঃ । তথাহপরেহরুস্করকণ্টকারী-পুষ্পত্ত্বিৰোহিঙ্গুলকত্বিষোহন্তে ॥” “চকোরপুংস্কোকিলসারসানাং নেত্রবিভাসাশ্চ ভবস্তি কেচিৎ ৷ অষ্ঠে পুননীতিবিপুষ্পিতানাং তুল্যত্বিষ: কোকনদোদরাণাম ।’’ মাণিক্যের “বল্লুক” বাধুলফুল (১) “গুঞ্জাসকল গুঞ্জাদ্ধ অর্থাৎ কাল আদখানা রক্তবর্ণ আদখান ( ) “ইন্দ্রগোপ” বর্ষকীট বা মকমলী পোকা । ৩) “জবা” জবাফুল (৪) “অস্বকৃ” শোণিত ( ) এই সকলের বর্ণের স্তায় বর্ণ ও দীপ্তিযুক্ত হয় এবং “দাড়িমবীজবর্ণ” অর্থাৎ পাকা দাড়িমের বীজের বর্ণ (৬) (ইহাও প্রায় রক্তবর্ণ) “কিংশুকবর্ণ” পলাশ ফুলের বর্ণ ( ৭ ) “সিন্দূর” (৮) “পদ্মোৎপল” রক্তপদ্ম বা রক্তকম্বল নাইল ফুল (৯ ) “কুস্কুম” জাফরান ( ১০ ) “লাক্ষারস” অলক্তকতুল্যবর্ণ ( ১১ ) “কুমুম্ভ” কুমুমফুল ও “নালা” নীলরস, এই দুই বর্ণের বিমিশ্রণে যে বর্ণ হয়-তদ্বর্ণ ( ১২ ) “রক্তাম্বর’ সায়ংকালের রক্তবর্ণ আকাশ অর্থাৎ সিঁদুরে মেঘের বর্ণ ( ১৩ । “অরুন্ধরপুষ্প” ভেলার ফুল (১৪) “কণ্টকারীপুষ্প" (১৫) “হিস্কুল” হিঙল ধাতুর বর্ণ বা ছায়া ( ১৬ ) হইয়া থাকে । - কেহ কেহ বলেন যে, মাণিক্য “চকোর” চকোর পক্ষী, পুংস্কোকিল ও সারস १२९