বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্য । 意蟹 পক্ষীর নেত্রের দ্যায় বর্ণযুক্তও হইয় থাকে। অষ্ঠাষ্ঠ রত্নতত্ত্ববেত্তার বলেন যে, অল্প প্রস্ফুটিত কোকনদ অর্থাৎ রক্ত নাইল ফুলের অভ্যন্তরস্থ বর্ণের স্থায় বর্ণও হক্টর থাকে । বর্ণ অনুসারে মাণিক্যের নাম ও উত্তমtধমাদি ব্যবস্থা । “সিংহলে তু ভবেদ্রভং পদ্মরাগমন্থন্তমম্।” riণীতং কালপুরোদভূতং কুরুবিন্দমিতি স্মৃতম্।” “অশোকপল্লবচ্ছায়মমুং সৌগন্ধিকং বিদ্যুঃ ।” “তুম্বরে ছায়য়া নীলং নীলগন্ধি প্রকীৰ্ত্তিতম (” “উত্তমং সিংহলোদভূতং নিরুষ্টং তুম্বরোদ্ভবম্ ।” “মধ্যমং মধ্যজং জ্ঞেয়ং মাণিক্যং ক্ষেত্ৰভেদ তঃ ।’’ সিংহলদেশে যে মাণিক্য জন্মে, তাহ রক্তবর্ণ, নাম “পদ্মরাগ’ । ইহা অপেক্ষ উত্তম কুত্ৰাপি হয় না। কালপূবদেশজাত । মাণিক্য “গীত” বর্ণ হয় এবং তাহ ."কুরুবিন্দ” নামে বিখ্যাত। সেই একই মাণিক্য যদি অশোকপল্লবের কাস্তির ,ே কাস্তিযুক্ত হয়, তবে তাহার “দৌগন্ধিক” নাম জানিবে। তুম্বুরদেশজাত মাণিক্য কিঞ্চিৎ নীলাভ হয়, তন্নিমিত্ত তাহ “নীলগন্ধি” নামে প্রসিদ্ধ। সিংহলীয় মাণিক্যই অত্যুত্তম । তুম্বুরদেশীয় (স্ফটিকের আকর যে দেশে আছে ) মাণিক্য অধম এবং কালপুরাদি মধ্যদেশেৎপন্ন মাণিক্য মধ্যম। এইরূপ, ক্ষেত্র অর্থাৎ উৎপত্তিস্থানের ভিন্নতা অনুসারে মাণিক্যও বিভিন্ন রূপগুণাদিযুক্ত হইয়া থাকে। “প্রভাবকাঠিন্ত গুরুত্বমোগৈঃ প্রায়ঃ সমানঃ স্ফটিকেfদ্ধবনাম । অনীেলরক্তোৎপলচারুভাসঃ সৌগন্ধিকাখ্যা মণয়োভবন্তি ॥” স্ফটিকাকরে একপ্রকার মাণিক্য জন্মে। তাহা কি প্রভাবে, কি কঠিন্তে, কি গুরুত্বে, সৰ্ব্বাংশেই জাত্য মাণিক্যের তুল্য হইয়া থাকে । সৌগন্ধিক নামক মণি ঈষৎ নীলাভাযুক্ত রক্তোৎপলের ন্যায় মনোহর কাস্তিবিশিষ্ট হইয় থাকে। “যে মন্দরাজঃ কুকবিন্দকেষু স এব জাতঃ স্ফটিকোস্তুবেযু । নিরৰ্চিযোহন্তৰ্ব্বহুলীভবন্তি প্রভাববস্তেহপি ন তৎসমানঃ ॥”

  • কালপুর ? না আধুনিক কানপুর ? যদি কানপুর পাঠ হয় তবে ইহাই বুঝিতে হইবে, যে, এখন আর তৎপ্রদেশে কোন রত্বই জন্মে না ।

శివలి §