পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २ ] “যখ ছি চৌর: স তথাহি বৌদ্ধঃ তখাগতং নাস্তিক মন্ত্র বিদ্ধি ॥” { ইত্যাদি অযোধ্যাকাও দেখ। এতৎ প্রমাণে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রাচীনত্ব অনুমান করা যাইতে পারে ; আবার ঐ শ্লোককে পক্ষাস্তরে প্রক্ষিপ্ত বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। প্রক্ষিপ্ত হইলে ঐ শ্লোককে নুতন রচিত বলিতে হইবে। ইচ্ছা হয় বল, কিন্তু শাক্যসিংহ যখন শেষ মর্ত্য বুদ্ধ ; তাহার পূর্বেও যখন ৫৫ জন বুদ্ধ ছিলেন, স্বর্গেও পদ্মোস্তুর প্রভৃতি ৪৯ বুদ্ধ আছেন এবং ঠহার। শাক্যসিংহের অনেক পূৰ্ব্বে মর্ত্যলোকে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন বলিয় প্রথিত, এবং আমাদের বায়ুপুরাণ, কঙ্কিপুরাণ, গণেশ ও শস্তু প্রভৃতি উপপুরাণ মধ্যেও যখন বৌদ্ধধৰ্ম্মের ও বুদ্ধাবতারের কথা লিখিত আছে, তখন আর আমরা বুদ্ধোত্ত ধৰ্ম্মনিচয়কে শাক্যসিংহ অপেক্ষ অধিক পুরাতন না বলিয়া থাকিতে পারি না । শাক্যসিংহ শেষ মর্ত্য বুদ্ধ, তিনি “বহুজনহিতায় বহুজনকৃপায়ৈ” এই মর্ত্যভূমে মর্ত্য শরীর পরিগ্রহ করিয়াছিলেন । র্তাহার জন্মসময়ে এ দেশ বৈদিক কৰ্ম্মকলাপের স্রোতে প্লাবিত হইতেছিল ; জ্ঞানকাগু না থাকার দ্যায় হইয়াছিল, এইমাত্র ঘটনা । শুনিতে পাওয়া যায়, বুদ্ধদেব না-কি বেদ-নিন্দ করিয়াছিলেন । আমরা সাধ্যমত তদীয় জীবন পর্যালোচনা করিয়া দেখিয়াছি, তাহার পবিত্র জীবনে উক্ত নিন্দাবাদের লেশমাত্রও দেখিতে পাই নাই । তাহার মনে কেবল খেদ —কেবল ক্ষোভ ! জীবগণ যে বৃথা কষ্ট ভোগ করিতেছে তদৃষ্টে তাহার মনে সৰ্ব্বদাই ক্ষোভের উদয় হইত। বিদ্বেষ বা নিন্দ করা তাহার প্রকৃতিবিরুদ্ধ। পরবর্তী অসাধুচিত্ত বেীদ্ধেরাই বেদকে ভগুনিৰ্ম্মিত বলিয়া ঘৃণা করিয়াছিল, তিনি কখনও ঘূণাক্ষরে বেদ-নিনা করেন নাই। তিনি ব্রাহ্মণদিগের দ্য{য় বেদের অভ্রান্তত স্বীকার করিতেন কি-না তাহ এখন স্থির বলা যায় না । তিনি অহিংসাধৰ্ম্মপ্রিয়, অহিংসা ধৰ্ম্মের উপদেশক, সুতরাং হিংসাঘটিত বৈদিক ক্রিয়াকলাপ ( যাগযজ্ঞ ) তাহার মতবহির্ভূত । তিনি সংসারত্যাগের পরিপোষক ও চিত্তনৈৰ্ম্মল্যকারী শুক্ল ধৰ্ম্মের পক্ষপাতী, তাই তিনি হিংসাঘটিত ও কামনাঘটিত বৈদিক কৰ্ম্ম করেন নাই এবং করিতে অন্তকেও নিষেধ করিতেন । কিন্তু যে সকল কৰ্ম্ম তাহার মতের অমুকুল, সে সকল কৰ্ম্মে তাহার নিষেধ ছিল বলিয়া বোধ হয় না | এতদেশীয় জয়দেব কবি এ বিষয়ে ঠিক