পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐতিহাসিক রহস্ত –দ্বিতীয় ভাগ । سیاه ه স্বাদশবর্ষ পরে তিনি কপিলবস্তুতে গমন করিয়৷ তাছার পিতৃত্বস, স্ত্রী এবং শাক্যবংশীয় অস্তান্ত লোককে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছিলেন । এইরূপ ধৰ্ম্মপ্রচারে কালাতিপাত করিয়া ভগবান বুদ্ধদেব ৮• বৎসর বয়ঃকালে ৫৪৩ খুষ্টজন্মের পূর্ব বৎসরে কুশীনগরে দেব-মানবলীলা সংবরণ করিলেন। এসময় র্তাহার অসংখ্য শিষ্য উপস্থিত ছিল । তাহারা সকলেই বোধিসত্বের জয়ধ্বনি করিতে লাগিল । এবং মৃত্যুশষ্য হইতে বুদ্ধদেব তিনবার স্বশিষ্যবৰ্গকে ধর্শ্বেন্ধ রন্থঃ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে অনুরোধ করিলেন ; কিন্তু কেহই বাঙনিম্পত্তি করিল না । সে সময় কাহারও ধৰ্ম্মবিষয়ে অণুমাত্র সন্দেহ উপস্থিত হয় নাই। অবশেষে মৃত্যুকালে ভগবান কছিলেন, “ভিক্ষুগণ ! আমি শেষবার তোমাদিগকে উপদেশ দিতেছি, সংসারের সকল বস্তুই ক্ষণভঙ্গুর, এজষ্ঠ তোমরা নিৰ্ব্বাণ কামনায় যত্নশীল হও।” ভগবান নিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হইলে সাধারণ ভিক্ষুগণ উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ ও অনুতাপ করিতে লাগিল। কিন্তু আর্বতগণ পৃথিবীর সকল বস্তু ক্ষণভঙ্গুর ভাবিয়া শোকবেগ সংবরণ করিলেন। চন্দনকাষ্ঠের চিতার উপর র্তাহীর মৃতশরীর নববস্ত্রাবৃত করিঞ্জা স্থাপিত হইলে, মহ কাশুপ, তথা ৫ee শত ভিক্ষু উল্লাহ। তিনবার প্রদক্ষিণ করিলেন । তৎপরে সকলে ভগবানের চরণ বন্দনা করিয়া চিতা প্রজলিভ করিয়া দিলেন । নশ্বর শরীর ধ্বংস হুইয়া ভস্মাৰশিষ্ট হইল, ভিক্ষুগণ সেই ভস্মরাশি ধাতুনিৰ্ম্মিত পাত্রে পূর্ণ করিয়া সুগন্ধ পুষ্পে আচ্ছাদিত করত নৃত্যগীত করিতে করিতে নগরমধ্যে আনয়ন করিল। উহা তথায় মহাসম্মানের সহিত সপ্তদিবস রক্ষিত হইয়াছিল। অবশেষে তাহার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অস্থিখও রাজগৃহ, বৈশালী, কপিলবস্তু, অলকাপুর, রামগ্রাম, উখদীপ, পাওয়া এবং কুশীনগর, এই ৮ স্থানে প্রোথিত করিয়া তাহার উপর অটুট শুপ নিৰ্ম্মিত করিল। বুদ্ধদেবের উপর এত ভক্তি এবং এত অল্পরাগ যে, তাহার দন্ত কেশাদি লইয়া বহুব্যয় করিয়া তাহ সংরক্ষণ জন্ত বৃহৎ মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ঐ সকল মন্দির বিশেষ বিশেষ তীর্থস্থান বলিয় পরিগণিত এবং তাহা একাল পর্য্যস্ত বিখ্যাত । বুদ্ধদেব স্বয়ং কোন গ্রন্থ প্রণয়ন করেন নাই। চৈতন্যদেবের कुब डैशंद्र মত, শিষ্যবৰ্গ কর্তৃক মৃত্যুর অস্তে জগতের হিতের জঙ্গ, প্রচারিত হইয়াছিল । তাহার প্রসিদ্ধ তিন শিষ্য “ত্রিপেটক” রচনা করেন । প্রথম অধ্যায় অভিধৰ্ম্ম