পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ । ২৬৫ সম্পূর্ণ বিপরীত বর্ণনা দৃষ্ট হয়। তাহাতে লিখিত আছে, সোমলতার রস সুমিষ্ট, মাদক ও অত্যন্ত হর্ষজনক ; যথা ঋগ্বেদ – “প্রবো ম্ৰিয়স্ত ইদং বো মৎসরা মাদয়িষ্ণবঃ। প্রন্স মধ্ব-চমুষদঃ ” হে ইঞ্জ-আদি দেবগণ ! আপনাদের নিমিত্ত উৎকৃষ্ট সোম সম্পাদিত করা হইতেছে, ইহা অত্যন্ত তৃপ্তিকর, হর্ষের হেতু, বিন্দু বিন্দু কবিয়া নিষ্কাশিত, অতি মধুর এবং চমু অর্থাৎ পাত্রবিশেষে অবস্থিত আছে। পুনশ্চ “অশ্বিনীে পিবতং মধু” অর্থাৎ হে অশ্বিনীকুমার! এই মাধুর্য্যগুণবিশিষ্ট সোম পান কর। এইরূপ সৰ্ব্বত্রই বেদে সোমের মিষ্টতা বর্ণিত আছে, বিশেষ উনিশবর্গে সোমস্থত্ত-নামক ঋকৃসমূহে সোমের মিষ্টাস্বাদ স্পষ্ট বর্ণনা করা হইয়াছে। সোমের রস দুগ্ধের হ্যায় ও গাঢ় ; যথা “সন্তে পয়াংসি সমুচন্তু রাজা” অর্থাৎ হে সোম ! তোমার পূৰ্ব্বোক্ত গুণযুক্ত পয় অর্থাৎ ক্ষীর সকল তোমাকেই প্রাপ্ত হউক। ইহার বর্ণসম্বন্ধে এইমাত্র উক্ত হইয়াছে, “রাজ্ঞে জু তে বরুণন্ত ব্রতানি বৃহস্পাতেবং তব সোম ধাম—” অর্থাৎ হে সোম! তুমি রাজমান বরুণের দ্যায়, তোমার তেজ অতি বিস্তীর্ণ এবং গাম্ভীৰ্য্যযুক্ত । ইহাতে এইমাত্র অনুভব হইতেছে যে, সোমের বর্ণ জলের স্তায় শুভ্র । সোমলতার আকার পুত্তিকা ৬ লতার সদৃশ ( পুই শাকের মত ) হুইবার সম্ভাবনা, কেননা সোমলতার অভাবে পুত্তিক লতার বিধান আছে—“সাদৃশ্রে প্রতিনিধিঃ” শাস্ত্রকাবেরা কোন বস্তুর অভাব হইলে তৎসদৃশ বস্তুস্তবের গ্রহণ বিধান করিয়াছেন ; স্বতরাং সোমাভাবে পুত্তিকার বিধি ; যথা— “ সোমাভাবে পুত্তিকামভিযুগুয়াৎ।” শ্রুতিঃ । বড়বিংশ ব্রাহ্মণ প্রভৃতি ব্রাহ্মণগ্রন্থে সোমাভাবস্থলে পুত্তিকা-বিধানের অনেক বাক্য আছে । ն সোম তন্তযুক্ত অর্থাৎ অভ্যন্তরে আঁশযুক্ত লত। যথা— “আপ্যায়স্ব মন্দিতম সোম বিশ্বেভিরংগুভিঃ । ভরা নঃ সুশ্ৰুব স্তমঃ সখী বৃষে। ১৪ অ, ১৯ স্বত্ত । অর্থাৎ হে অতিশয় মদযুক্ত সোম! তুমি তোমার সমুদয় তন্তু দ্বার আমাদিগকে আপ্যায়িত কর। Guilandina Boudug ○8