পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ ঐতিহাসিক-রহস্ত —দ্বিতীয় ভাগ। সোমরসের বিবিধ গুণের মধ্যে পুষ্টিকারিতা ও রোগনাশকত্ব গুণ আছে । যথা – “গয়স্থানে অমিহী বসুবিৎ পুষ্টিবৰ্দ্ধনঃ ।” ১৪ অ, ৯১ স্ব। অর্থাৎ হে সোম! তুমি ধনের বৃদ্ধিকারী, রোগসমূহের নাশক, শরীর ও মনের পুষ্টিকারক। আর্ষকালের ঋষিগণই সোমলতা প্রকাশ করেন। যথা— “ত্বং সোম প্রচিকিতে মনীষত্ৰং রজিপ্যমন্ত্রনেষি পথাং " অর্থাৎ হে সোম! তুমি আমাদের বুদ্ধি দ্বারা পরিজ্ঞাত হইযtছ । সোমরস কগুন দ্বারা অর্থাৎ কুটিয়া অভিষব অর্থাৎ নিষ্কাশন কয়া হইত। ইহ রাখিবার পাত্রকে চমু কহে। এই পাত্ৰ কাষ্ঠ বা গোচৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত হইত। উহার রস উঠাইবার পাত্র পৃথকৃ, তাহার নাম গ্রহ । “যৎ সানোঃ সামুমারুহুৎ ভূৰ্য্যস্পষ্টকত্বং । তদিন্দোহর্থং চেততি যথৈনং বৃষ্টিরেজতি ॥” বৎকালে যজমান সকল সোমবল্লী আহরণের নিমিত্ত এক পৰ্ব্বতশিখর হইতে শিখরান্তরে আরোহণ করেন, তখনই তাহাদিগের সোম-যাগ আরম্ভ করা হয়। ইন্দ্র তৎকালে যজমানের প্রয়োজন বুঝিয় তাহাদের যজ্ঞস্থলে আগমন করেন। ঋগ্বেদে পুরূরব, ব্যাতি প্রভৃতি রাজাদিগের নাম পাওয়া যায় ; যথা— “মনুষ্যদগ্নে অঙ্গিরস্বদাঙ্গিরে যযাতিবৎসম্বনে পুৰ্ব্ববন্ধুভে ।” বেদের সংহিতা, বিশেষতঃ ব্রাহ্মণে অনেক রাজা ও অন্তান্ত ব্যক্তিগণের আখ্যায়িক আছে, তাহাকে পুরাণ বলা যায় ; * ইহা ভিন্ন বৈদিক কালে অন্ত পুরাণ ছিল না ; তবে মহাভারত, রামাষণ ও অন্তান্ত পুবাণ প্রভৃতি বেদীমুযায়ী অর্থাৎ অনেকাংশের অবলম্বন-পীঠ বেদ । পণ্ডিত দয়ানন্দ সরস্বতীর সহিত কাশীর পণ্ডিতগণের তর্কবিতর্ক উপস্থিত হইলে তিনি বৈদিক আখ্যায়িকাকেই পুরাণ বলিয়া মান্ত করিয়াছিলেন ; উহা ভিন্ন তিনি স্বতন্ত্রপুরাণ মান্ত করেন নাই। ভাষা, পার্থিব অবস্থা, মনুষ্যগণের প্রকৃতি এবং তাহাদের আচার ব্যবহার সমুদায় পরিবর্তনশীল। সুতরাং সহজেই এইরূপ উপলব্ধি হয় যে, এখন আমরা যাহা দেখিতেছি ও শুনিতেছি, অতি পুৰ্ব্বকালে এরূপ ছিল না । কিরূপ ছিল, তাহাও নিরূপণ করা যায় না। তবে কি না পুরাকালের ভাব মনোমধ্যে

  • Tনখচঃ সামানি চ্ছন্দালি পুরাণং যজুর্য সহ ।”—অধৰ্ব্ববেদ ।