পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঠোপনিষৎ 9ܓ݁ܶܓ অৱলম্বন অতি উত্তম হয়। আর এই প্ৰণব অপরব্রহ্মের অবলম্বন এবং পরব্রহ্মেরও অবলম্বন হয়েন। অতএব এই প্ৰণবস্বরূপ অবলম্বনকে জানিয়া মনুষ্য ব্ৰহ্মস্বরূপ হয়। কিম্বা ব্ৰহ্মলোকে স্থিতি করে অর্থাৎ পরব্রহ্মের অবলম্বন করিলে ব্ৰহ্মস্বরূপ : হয়। আর অপরব্রহ্মের অবলম্বনের দ্বারা ব্ৰহ্মলোকে প্ৰাপ্ত হয় । ১৭ ৷ প্ৰণবের বাচ্য আত্মা হয়েন অর্থাৎ প্রণব’ শব্দে পরমাত্মাকে বুঝায় এমৎ জানিয়া প্ৰণবের উপাসনা করা এবং আত্মাকে প্ৰণবস্বরূপ জানিয়া প্ৰণবের উপাসনা করা দুর্বলাধিকারীর প্রতি কহিলেন এক্ষণে আত্মার স্বরূপ কহিতেছেন। ন জায়তে মিয়তে বা বিপশ্চিৎ নায়ং কুতশ্চিৎ ন বিভূর কশ্চিৎ। অজো নিত্যঃ শাশ্বতোয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ৷ ১৮ ৷৷ আত্মার জন্ম নাই এবং মৃত্যু নাই তেঁহ নিত্য জ্ঞানস্বরূপ হয়েন কোনো কারণের দ্বারা তঁহার উৎপত্তি নাই এবং আপনিও আপনার কারণ নহেন অতএব এই জন্মশূন্য যে আত্মা তেঁহ নিত্য হয়েন [ ২৬ ] ঞেহার হ্রাস নাই সর্বদা এক অবস্থাতে থাকেন এই হেতু খড়গাদির দ্বারা শরীরে আঘাত করিলে শরীরস্থ আত্মাতে আঘাত হয় না। যেমন শরীরে আঘাত করিলে শরীরস্থ আকাশেতে আঘাত না হয়। ১৮ ৷ হন্ত চেন্মান্যতে হন্তং হতাশ্চেন্মন্যতে হতং। উভৌ তৌ ন বিজানীতো নায়ং হন্তি ন হন্যতে ৷ ১৯ ৷ যে ব্যক্তি শরীরমাত্রকে আত্মা জানিয়া আত্মাকে বধ করিব এমৎ জ্ঞান করে আর যে ব্যক্তি এমৎ জ্ঞান করে যে আমি পর হইতে হত হইব সে উভয় ব্যক্তি আত্মাকে জানে না। যেহেতু আত্মা কাহাকে নষ্ট করেন না এবং কাহা হইতেও নষ্ট হয়েন না । ১৯ । অণোরণীয়ান মহতো মহীয়ানাত্মাস্য জন্তোর্নিহিতো গুহায়াং। তন্মক্রেতুঃ পশ্যতি বীতশোকো ধাতুঃ প্ৰসােদান্মহিমানিমাত্মন: ॥ ২০ ৷ এই আত্মা সূক্ষ্ম হইতেও সূক্ষ্ম আর স্কুল হইতেও স্থূল হয়েন অর্থাৎ স্কুল সূক্ষ্ম যাবৎ বস্তু আত্মাকে আশ্রয় করিয়া আছে এই আত্মা ব্ৰহ্মাদি স্তম্ব পৰ্যন্ত যাবৎ প্রাণীর হৃদয়েতে সাক্ষিৰূপে আছেন এই আত্মার মহিমাকে নিষ্কাম ব্যক্তি মন বুদ্ধি ইন্দ্ৰিয়ের প্রসন্নতা দ্বারা জানিয়া শোকাদি হইতে মুক্ত [ ২৭ ] হয়েন। ২০ । আসীনো দূরং ব্ৰজতি শয়ানো যাতি সৰ্ব্বতঃ । কস্তং মন্দামদং দেবং মনন্যে জ্ঞাতুমৰ্হতি ৷৷ ২১ ৷ এই আত্মা অচল হইয়াও মন প্রভৃতি ইন্দ্ৰিয়ের দূরগতি দ্বারা যেন দূরে গমন করেন এমৎ অনুভব হয়। আর সুপ্ত হইয়াও সৰ্ব্বত্র গমন করেন অর্থাৎ সুষুপ্তিকালে সাধারণ জ্ঞানরূপে সর্বত্র ব্যাপিয়া থাকেন আমার ন্যায় জ্ঞানী ব্যতিরেক কোন ব্যক্তি সেই সুষুপ্ত কালে হর্ষযুক্ত আর জাগরণকালে হর্ষরহিত আত্মাকে জানিতে পারে অর্থাৎ উপাধির দ্বারা যাবৎ বিরুদ্ধ ধৰ্ম্মবিশিষ্ট আত্মাকে অজ্ঞানী ব্যক্তি কিরূপে