d) O R झांश८शश्न-७शछ्त्रव्ली মানুষ্যং প্ৰাপ্য দুলভিং।। যস্তারয়তি নাত্মানং তস্মাৎ পাপতিরোত্র কঃ । অর্থাৎ বহু জন্মের পুণ্যসঞ্চয় দ্বারা মনুষ্য হইয়া যদি জ্ঞানী হয় তবে তাহার মুক্তি হইবেক । মোক্ষের সোপান অর্থাৎ সিড়ি যে মনুষ্যজন্ম তাহা পাইয়া যে আপনার ত্ৰাণ জ্ঞান দ্বারা না করিলেক তাহার পর পাপী আর কে আছে। ৫ , পৃষ্ঠে ৫ পংক্তিতে লিখেন যে “আপন অপূর্ব ধৰ্ম্মসংহিতার ২ পৃষ্ঠে ১৬ ংক্তিতে যোগবাশিষ্ঠ বচনের তাৎপৰ্য্যাৰ্থ লিখিয়াছেন যে ব্যক্তি সংসার সুখে আসক্ত হইয়া ইত্যাদি অতএব পূর্বলিখনের বিস্মরণে যোগবশিষ্ঠ বচনের পুনর্বার স্বমত রক্ষণার্থ অন্যাৰ্থ কল্পনা করিয়া যোগবশিষ্ঠের বিচনান্তর কথনেও নিরর্থ নানা বাক্যোচ্চারণে উন্মত্তপ্ৰলাপ ইত্যাদি।” উত্তর, আমাদের প্রথম উত্তরের দ্বিতীয় পৃষ্ঠে যাহা লিখিয়াছিলাম তাহা সমুদায় প্রথমত লিখিতেছি। অর্থাৎ “যে ব্যক্তি সংসারসুখে আসক্ত হইয়া আমি ব্ৰহ্মজ্ঞানী এমৎ কহে সে কৰ্ম্ম ব্ৰহ্ম উভয়ভ্ৰষ্ট ত্যাজ্য হয়।” আর ঐ যোগবাশিষ্ঠবচনান্তরের অর্থ যাহা প্ৰথম উত্তরের পঞ্চম পৃষ্ঠে লিখিয়াছিলাম তাহাকেও পুনরুক্তি করিতেছি “( বহির্ব্যাপারসংরম্ভে হৃদি সঙ্কল্পবৰ্জিতঃ । কৰ্ত্তা বহিরাকৰ্ত্তান্তরে।বং বিহর রাঘব। অর্থাৎ বাহোতে ব্যাপারবিশিষ্ট মনেতে সঙ্কল্প ত্যাগ আর বাহিরেতে আপনাকে কৰ্ত্তা দেখাইয়া ও মনেতে অকৰ্ত্তা জানিয়া হে রামচন্দ্ৰ লোকযাত্রা নির্বাহ কর অতএব জ্ঞানাবলম্বী অথচ বিষয়ব্যাপারযুক্ত ব্যক্তিকে দেখিয়া দুই অনুভব হইতে পারে এক এই যে মনেতে আসক্ত হইয়া ব্যাপার করিতেছে দ্বিতীয় এই যে আসক্তি ত্যাগপূর্বক বিষয় করিতেছে ইত্যাদি।” এই দুই বচনের অর্থ যাহা লেখা গিয়াছিল। তাহ পরস্পর অন্যার্থ হইয়া প্ৰলাপোক্তি হয় কি ইহাকে প্ৰলাপোক্তি কথনের কারণ কেবল ধৰ্ম্মসংহারকের দ্বেষ পৈশুন্য হয় তাহা পণ্ডিত লোক বিবেচনা করিবেন। ৫১ পৃষ্ঠে ৩ পংক্তিতে লিখেন যে “ঐ জনকাজুনের লৌকিকাচার দৃষ্টিতে কলির জ্ঞানী মহাশয়দের লৌকিকাচার কৰ্ত্তব্য, কি সন্ধ্যা বন্দনাদি পরিত্যাগ ও সাবানের দ্বারা মুখ প্ৰক্ষালন ক্ষুরিকর্ম ইত্যাদি লোকবিরুদ্ধ কৰ্ম্মই কৰ্ত্তব্য হয়।” উত্তর, সাবানের দ্বারা মুখ প্ৰক্ষালন ও ক্ষুরিকর্ম ইত্যাদি ধৰ্ম্মসংহারকের স্বপ্ন সুতরাং ইহার উত্তর দিবার প্রয়ােজন রাখে নাই ; এই উত্তরের ৯ পৃষ্ঠ অবধি ১১ পৃষ্ঠ পৰ্যন্ত আমরা লিখিয়াছি তাহা দৃষ্টি করিবেন যে জ্ঞাননিষ্ঠদের সর্বপ্রকারে আবশ্যক আত্মচিন্তন এবং ইন্দ্ৰিয় দমনে যত্ন ও প্ৰণব উপনিষদাদির অভ্যাস হয়, সন্ধ্যা বন্দনাদি চিত্তশুদ্ধির কারণ হয়েন। অতএব ইহার পরিত্যাগের আবশ্যকতা কুত্ৰাপি লেখা যায় না। পরে ধৰ্ম্মসংহারক ঐ পৃষ্ঠে তন্ত্রবচন লিখেন যে (শিবতুল্যোপি