পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SKOR श८झट्र-७२छ्ळी ৯৮ পুষ্ঠে লিখেন যে “মলিনচিত্ত ব্যক্তিদের দুর্জয় মানভঙ্গাদি দর্শনে চিত্তের মালিন্য হওয়া কোন আশ্চৰ্য্য তাহারদিগের কন্যা ভগিনী পুত্ৰবধু প্ৰভৃতি দর্শনেও এই প্ৰকার হইতে পারে” ৷ উত্তর, ( তং তমেবৈতি কৌন্তেয় সদা তদ্ভাবভাবিত: ) । এই গীতাবাক্যানুসারে যাহা ধৰ্ম্মসংহারককেও বিদিত থাকিবেক, ও সামান্য যুক্তি মতে, অগম্যাগমনে ও স্ত্রীলোকের সহিত বহু প্ৰকার ক্রীড়াতে ও নানাবিধ ব্যভিচার ভজনে ও সাধনে যে ব্যক্তিরা সর্বদা চিত্ত মগ্ন করেন তাহা হইতে কন্যা ও ভগিনী ও পুত্রবধু প্ৰভৃতি দর্শনে চিত্তমালিন্যের অধিক সম্ভাবনা হয় কি না ইহার মধ্যস্থ ধৰ্ম্মসংহারকই হইবেন । ঐ পৃষ্ঠে সৰ্ব্বভাবেতে ভগবানের আরাধনা করিতে পারে, ইহার প্রমাণের উদ্দেশে শ্ৰীভাগবতের বচন ধৰ্ম্মসংহারক লিখিয়াছেন, যে কামে অথবা দ্বেযে কিম্বা ভক্তিতে ইত্যাদি কোন ভাবে ঈশ্বরে চিত্ত নিবেশ করিলে উত্তম গতি প্ৰাপ্তি হয়, এবং অবহেলা ক্ৰমে ভগবান্নামোচ্চারণ করিলে পাপক্ষয়কে পায় । যদি ধৰ্ম্মসংহারকের এই ব্যবস্থা স্থির হইল যে এই সকল মাহাত্ম্যসূচক বচনে নির্ভর করিয়া ভক্তি শ্ৰদ্ধাতে তাহার স্মরণ কীৰ্ত্তন করিলে যে পুণ্য হইবেক তাহা দ্বেষ ও অবহেলাতেও হইতে পারে তবে বড়াই বুড়ীর দ্বারা ও বাসুয়া প্ৰভৃতির প্রমুখাৎ ব্যঙ্গ বিদ্রুপে ভগবানকে যে পৰ্য্যন্ত পরিপূর্ণ করিতে পারেন করিবেন আমাদের হানি লাভ ইহাতে নাই । ধৰ্ম্মসংহারক ১০০ পৃষ্ঠ অবধি ১০৫ পৰ্য্যন্ত গৌরাঙ্গকে বিষ্ণু অবতার প্রমাণ করিতে উদ্যত হইয়া অনন্তসংহিতা এই গ্ৰন্থ কহিয়া বচন সকল লিখেন, যথা ( ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থায় বিহরিষ্যামি তৈরহং। কালে নষ্টং ভক্তিপথং স্থাপয়িষ্যাম্যহং পুনঃ । কৃষ্ণশ্চৈতন্যগৌরাঙ্গেী গৌরচন্দ্ৰঃ শচীসুতঃ। প্ৰভুগৌরহরিগৌরো নামানি ভক্তিদানি মে। ইত্যাদি ) । উত্তর, এ ধৰ্ম্মসংহারকের ব্যবহার পণ্ডিতেরা দেখুন, গৌরাঙ্গকে প্রাচীন ও নবীন গ্ৰন্থকারেরা কেহ কোন স্থানে বিষ্ণুর অবতার কাহেন নাই, বরঞ্চ ঐ গৌরাঙ্গমতস্থাপক তৎকালীন গোসাইরা, যাঁহাদের তুল্য পণ্ডিত ও মতে জন্মে নাই, তাহারা যদ্যপিও গৌরাঙ্গকে বিষ্ণুরূপে মানিতেন। কিন্তু কোন প্ৰসিদ্ধ গ্রন্থে এ অনন্তসংহিতার বচন সকল লিখেন নাই, যাহাতে গৌরাঙ্গ বিষ্ণুর অবতার হয়েন ইহা স্পষ্ট প্ৰাপ্ত হয়, এখন বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বিবেচনা করিবেন, যে এমত ব্যক্তি হইতে কি কি বিরুদ্ধ কৰ্ম্ম না হইতে পারে যিনি গৌরাঙ্গকে অবতার স্থাপনের নিমিত্ত এ সকল বচনকে ঋষিপ্রণীত কহিয়া লোকে প্ৰসিদ্ধ করেন ; কিন্তু পণ্ডিতেরা এ সকল কল্পনাতে কদাপি ক্ষুব্ধ হইবেন না, যেহেতু যে সকল পুরাণ ও সংহিতাদি শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ টীকা না থাকে, তাহার বচনের প্রামাণ্য প্ৰসিদ্ধ