দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । సారి ' ভক্তিমাৰ্গ অবলম্বন করিয়া সাধুতা ও ভগবৎ-প্রেম লাভ করি তেছে। বিষ্ণু-উপাসক জ্ঞানী ব্রাহ্মণগণ, সাধুভক্ত বৈশু শূদ্রাদিকে ও ব্রাহ্মণের তুল্য সন্মান প্রদান করিতেছেন। তজ্জন্ত বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মের প্রতি সাধারণের আকর্ষণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইতেছে। উহা দেখিয়া শাস্ত্রজ্ঞ শৈব ব্রাহ্মণের অত্যন্ত শঙ্কিত হইয়াছেন। তখন শৈবের সংখ্যা অধিক হইলেও কালে যে উহার হ্রাস হইতে পারে—এই সন্দেহে তাহারা ব্যাকুল হইয়া বৈষ্ণব-মতের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করিতেছেন এবং বৈষ্ণবেরাও নিশ্চিন্ত নহেন, তাহারাও শৈবদের প্রতি যতটা সম্ভব, শক্রতা করিতে ক্রটি করিতেছেন না। যাদবপ্রকাশস্বামী অদ্বৈতবাদী বৈদাস্তিক হইলে ও তখন পরম শিবোপাসক। তিনি যেমন শাস্ত্রীয় যুক্তি দ্বারা ( শঙ্করের প্রবর্হিত অদ্বৈতমতের সাহায্যে ) বৈষ্ণব-মত খ গুন কবিবার জন্য বদ্ধ-পরিকব ; তেমনি বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ে কোন প্রতিভাশালী ব্যক্তি প্রবেশ না করে, তজ্জন্ত ও বিশেষ চেষ্টত। যাদব প্রকাশ বুঝিয়াছিলেন– রামানুজ অদ্ভুত প্রতিভাসম্পন্ন, বৈষ্ণব-মতেব নেতৃত্ব গ্রহণ করিলে যুগাস্তব উপস্থত করিবে এবং উহাতে শৈব-সম্প্রদায়েব প্রচুর ক্ষতির সম্ভাবনা। তজ্জন্ত তিনি প্রায়ই শ্রুতি-সমূহের ব্যাখ্যা-কালে বৈষ্ণবমতের রিকদ্ধ অর্থ প্রকাশ করিতেন এবং ঐ অর্থ রামানুজব হৃদয়ে বদ্ধমুল করিয়া দিবার জন্য চেষ্টা করিতেন। রামান্বজেব জন্ম গ্রহণের বহু পুৰ্ব্ব হইতে ভাবতবর্ষে বৈষ্ণব-মুতেব সৃষ্টি হইয়াছিল। কতকগুলি পণ্ডিত, বংশপরম্পরা-ক্রমে ঐ মতের পক্ষপাতী ছিলেন । র্তাহরাই আদি বৈষ্ণব । রামানুজ উল্লিখিত বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ের অস্তভূত, সুতরাং বৈষ্ণব-মতের অনেক রহস্ত র্তাহার জানা ছিল।
